বিশ্বকাপে ফিরতে পারবে কেনিয়া-জিম্বাবুয়ে?
২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল লাইনআপ দেখলে আজও যে কেউ চমকে উঠতে বাধ্য। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান কিংবা ইংল্যান্ডকে টপকে সেবার শেষ চারে উঠেছিল টুর্নামেন্টের সারপ্রাইজ প্যাকেজ কেনিয়া। স্টিভ টিকোলো, কলিন্স ওবুয়োদের কেনিয়া শুধু সেই আসরেই না, বেশ অনেকবারই ক্রিকেট দুনিয়াকে চমক দিয়েছে।
কিন্তু ২০০৩ বিশ্বকাপের আসরটাই যেন ছিল তাদের সর্বোচ্চ বিন্দু। এরপর থেকে কেবলই পতনের গল্প। আইসিসির তৃতীয় বিভাগেও নেমে গিয়েছিল তারা। তবে ধীরে ধীরে সেই অচল দশাও যেন কাটছে। অন্তত এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব দেখলে কেনিয়াকে নিয়ে খানিক আশা জাগবে যে কারোরই।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আফ্রিকার অঞ্চলে বেশ ভালোভাবেই টিকে আছেন স্টিভ টিকোলোর দেশ। এখান থেকে শীর্ষে থাকা দুই দল যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপে।
আফ্রিকার অঞ্চলের বাছাইপর্বে এই মুহূর্তে তিনে আছে কেনিয়া। চারে আছে জিম্বাবুয়ে। দুই দলই বেশ কিছুদিন ধরেই আইসিসি ইভেন্টের বাইরে। এদের মাঝে কেনিয়াকে যেন ভুলতেই বসেছে ক্রিকেট দুনিয়া। আর জিম্বাবুয়ে এখনো টিকে আছে, তবে সেটাই অস্তিত্ব জানান দেওয়ার অংশ।
তবে এদের ছিটকে দিতে পারে আরেক সারপ্রাইজ প্যাকেজ উগান্ডা। ৪ ম্যাচে ৩ জয় আর ১ হার নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছে তারা। কেনিয়ার অবস্থাও তেমনই। তবে কেনিয়ার চেয়ে রানরেটে খানিক এগিয়ে থাকায় দুইয়ে আছে উগান্ডা। ৪ ম্যাচ থেকে ২ জয় নিয়ে অবশ্য এই দৌড়ে খানিক পিছিয়েই আছে জিম্বাবুয়ে। তাদের পয়েন্ট চার। সিকান্দার রাজার দলকে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হলে পরের সব ম্যাচেই জয় পেতে হবে। সেই সঙ্গে কামনা করতে হবে উগান্ডা এবং কেনিয়ার হার।
আগামীকাল বুধবার উগান্ডা এবং কেনিয়া ম্যাচ এই অঞ্চলের বাছাইপর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেইসঙ্গে ত্রিশ তারিখের কেনিয়া এবং জিম্বাবুয়ে ম্যাচেও নির্ধারণ হতে পারে ভাগ্য। ৪ ম্যাচে ৪ জয় পাওয়া নামিবিয়া অবশ্য এরইমাঝে এক পা দিয়ে রেখেছে ২০২৪ বিশ্বকাপে।
বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে নামিবিয়া, দুইয়ে আছে উগান্ডা। তিন এবং চার নম্বর স্থানে আছে কেনিয়া এবং জিম্বাবুয়ে। সাত দলের এই লড়াইয়ে শীর্ষ দুই দল পাবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট।
জেএ