বাদ পড়লেন দুর্জয়-শামসু; পেলেন না টুটুল-রুপু
সারা দেশের আগ্রহ ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন কারা সেই তালিকার দিকে। ক্রীড়াবিদ-সংগঠকদের অনেকে অধীর আগ্রহে ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনে অনেকেই নৌকার মাঝি হলেও কেউ বাদ পড়েছেন, আবার অনেকে মনোনয়ন পাননি। অপ্রত্যাশিতভাবে বাদ পড়েছেন অনেকেই। আবার ক্রীড়া সংগঠকদের অনেকেই রাজনৈতিক বিবেচনায় বাদ পড়েছেন।
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট দলের অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় মানিকগঞ্জ ১ আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এবার তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এই যাত্রায় তিনি দলীয় মনোনয়নে বাদ পড়েছেন। মানিকগঞ্জ ২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল।
আরও পড়ুন
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফুটবলার ও বিসিবি’র সাবেক পরিচালক এবারও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। ২০০১ সালে মানিকগঞ্জ থেকে দলীয় টিকিট পেয়েছিলেন বিশিষ্ট এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। মানিকগঞ্জ-২ আসনে সঙ্গীত শিল্পি মমতাজ বেগম পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
বাফুফের তিন মেয়াদের সদস্য ছিলেন চট্টগ্রাম ১২ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরি। তিনি জাতীয় সংসদের হুইপও ছিলেন। চট্টগ্রাম আবাহনী ফুটবল দলের মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরি এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। তার জায়গায় মনোনয়ন চেয়েছিলেন আরেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাফুফের সদস্য সত্যজিৎ দাশ রুপু। এই আসনে ক্রীড়াঙ্গনের দুই জনের বদলে আওয়ামী লিগের মনোনয়ন পেয়েছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
ক্রীড়াঙ্গনের আরো অনেকেই এবার আওয়ামী লিগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাসির, বাফুফের দুই সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহী, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু সহ আরো অনেকেই। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
এজেড/জেএ