সত্যিই কি খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ব্রাজিল?
সময়টা যেন ভালো যাচ্ছেনা ব্রাজিলের জন্য। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে হেরেছে তারা। সেইসঙ্গে নিজেদের ফুটবল দূর্গ মারাকানাতেও হারতে হয়েছে কয়েক দশকের ব্যবধানে। সবশেষ তিন ম্যাচে নেই। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কনমেবল অঞ্চলে তারা আছে ষষ্ঠ স্থানে। ৬ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট মোটে ৭।
অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে আছেন ফার্নান্দো দিনিজ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে নেইমার জুনিয়র আর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের মত মূল তারকা না থাকলেও একেবারেই ফেলে দেওয়ার উপায় নেই। রদ্রিগো, রাফিনহা, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি বা গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মত তারকারা যেকোন দলের জন্যই সমীহ জাগানোর কারণ। তবু ব্রাজিলের অবস্থান মোটেই সন্তোষজনক না।
এসব দিক মাথায় রেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ২০২৬ সালে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ব্রাজিলের জায়গা হবে কিনা। কেউ কেউ এখনই ব্রাজিলকে নিয়ে সমীকরণের ছক আঁকা শুরু করেছেন। অনেকেই টানা তিন ম্যাচ হারের হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন। ৪৮ দলের সেই আসরে ব্রাজিলের না থাকাটাই যে হবে বড় লজ্জার।
আরও পড়ুন
তবে সেলেসাও ভক্তদের জন্য সুখবর, এখনই ব্রাজিলকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া যায় না। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ খেলা শঙ্কার মুখে এমন ভয়টাও বেশ অমূলক। বাছাইপর্বে ব্রাজিলের সামনে আছে আরও ১২ ম্যাচ। সেসব ম্যাচে মাঠে নামার আগে সময়ও পাচ্ছে অনেক। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের সূচিতে ৬ ম্যাচ খেলবে তারা। শেষপর্ব হবে ২০২৫ সালে। সুতরাং ব্রাজিলের হাতে যথেষ্ট সময় আর সুযোগ আছে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
স্বস্তির খবর এটাই, যাকে ঘিরে এত সমালোচনা সেই ফার্নান্দো দিনিজের অধীনে সম্ভবত শেষ বাছাইপর্ব ম্যাচ খেলে ফেলেছে ব্রাজিল। ২০২৪ কোপা আমেরিকার সময়েই সেলেসাওদের ডাগআউটে আসতে পারেন নতুন কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি। এমনকি এই ইতালিয়ান কোচ না এলেও অন্য কোন নতুন কোচকে দেখা যাবে ডাগআউটে। সেদিক থেকেও নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ পাচ্ছে ব্রাজিল।
এমনকি বিশ্বকাপে কনমেবল অঞ্চল থেকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া দলের সংখ্যা বৃদ্ধির খবরটাও আশ্বাস যোগাবে তাদের। আগে চার দল সুযোগ পেলেও বিশ্বকাপের ফরম্যাট বদলের কারণে ছয় দল সরাসরি জায়গা করে নেবে। সঙ্গে সাতে থাকা দল খেলবে প্লে-অফ।
ততদিনে নিশ্চিতভাবেই নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার কাজটা সেরে রাখবে ব্রাজিল। কারণ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটাকে ছাড়া বিশ্বকাপ যে রঙ হারাবে, সেটা কে না জানে। ব্রাজিল নিজেও নিশ্চয়ই সব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের বিরল সুযোগ হারাতে চাইবে না।
জেএ