ড্রয়ে খুশি বাংলাদেশ, হতাশ লেবানন
দুই দলের মধ্যে ব্যবধান ব্যাপক। কিংস অ্যারেনায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই দলের লড়াইয়ে সেটা অবশ্য বোঝা যায়নি। বাংলাদেশ লেবাননের সঙ্গে পুরো ৯০ মিনিট সমানতালে লড়েছে। তাতে ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১।
ম্যাচ শেষে দুই দলের কোচের দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আগে এসেছিলেন লেবানন কোচ নিকোলা জুরেভিচ। তিনি বেশ খোলাখুলিই বলেন, 'ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আমি খুশি নই। আমরা ১-০ গোলে এগিয়ে ছিলাম। নিজেদের ভুলে বাংলাদেশ খেলায় ফিরেছে।’
পূর্ণ তিন পয়েন্ট না পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেও প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের প্রশংসাও করেছেন, 'গতকালই আমি বলেছি ম্যাচটি অনেক কঠিন হবে। তারা যথেষ্ট ভালোও খেলেছে। আমরা ম্যাচের প্রথম বিশ মিনিট এবং দ্বিতীয়ার্ধের কয়েক মিনিট নিয়ন্ত্রণ করলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশ ম্যাচে ভালো ফুটবল খেলেছে।’
কিংস অ্যারেনার মাঠ খানিকটা ভারী ছিল। এই মাঠে লেবাননের ফুটবলাররা তেমন স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেননি। এরপরও কোনো অভিযোগ করেননি কোচ, 'মাঠ , দর্শক সব কিছুই ভালো ছিল এখানে।’
অন্য দিকে বাংলাদেশের স্পেনিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা লেবাননের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেয়ে বেশ খুশি। তিনি বলেন, 'জুলাইয়ে ভারত সাফের লেবাননের চেয়ে এই ম্যাচে তারা বেশি গোছালো ছিল। আমরা ভালো খেলেই এক পয়েন্ট আদায় করেছি। ৭৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে ভালো খেলে এক পয়েন্ট পাওয়া অবশ্যই কৃতিত্ত্বের।'
বাংলাদেশ এই ম্যাচে গোলরক্ষক নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল। নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা ইনজুরিতে পড়েন প্রথমার্ধের শেষের দিকে। দ্বিতীয়ার্ধে গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণকে নামান কোচ। বাংলাদেশের গোল হজমের পেছনে শ্রাবণের খানিকটা ভুল রয়েছে। গোলরক্ষক পজিশন নিয়ে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জে ছিল কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে কোচ কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলেন, 'শ্রাবণ বাংলাদেশের হয়ে প্রথম খেলছে। এমন ম্যাচে নার্ভাস থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এরপরও সে ভালোই খেলেছে।' এই মন্তব্যের পর প্রশ্নকর্তাকে খানিকটা খোচাও দিয়েছেন কোচ, 'এই ম্যাচে বাংলাদেশের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। এরপরও নেগেটিভ দিক বের করা হচ্ছে।'
বাংলাদেশ এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট না পাওয়ায় আফসোসও ঝরেছে তার কন্ঠে, 'আমরা এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকতে পারতাম। অনেক গোলের সুযোগ মিস হয়েছে না হলে আমরা জিততেও পারতাম।’ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ২১ মার্চ। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচের ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি। এক মাস আগে জানা যাবে কোথায় গিয়ে খেলতে হবে জামালদের।
এজেড/এইচজেএস