পাকিস্তানের নতুন বোলিং কোচ গুল-আজমল
পাকিস্তান ক্রিকেটে পুরোদমে নতুনের হাওয়া লেগেছে। তাদের পুরো ক্রিকেট বোর্ডই (পিসিবি) বদলানো হয়েছে বিশ্বকাপের পর। কিছুটা আশ্চর্যের হলেও সত্যি হচ্ছে– কিছুদিন আগেও টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলে বেড়ানো ক্রিকেটাররা বসছেন জাতীয় দলের দায়িত্বে। এবার বোলিং বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের হয়ে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা দুই বোলার উমর গুল ও সাঈদ আজমলকে। পেসারদের গুল এবং আজমল স্পিনারদের কোচিং করাবেন।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ এবং পরের বছরের ৭ জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। গুল-আজমলদের দায়িত্ব শুরু হচ্ছে এই দুই সিরিজ থেকে। এর আগেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে গুল পাকিস্তানের বোলিং কোচ ছিলেন।
এছাড়া পিএসএলের দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স এবং তারপর আফগনিস্তান জাতীয় দলের বোলিং কোচ ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল গুলের। ২০১৬ সালে অবসর ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগে পাকিস্তানের হয়ে ৪৭টি টেস্টে ১৬৩ উইকেট, ১৩০ ওয়ানডেতে ১৭৯ এবং ৬০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি ৮৫টি উইকেট শিকার করেছেন।
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) November 21, 2023
নতুন করে জাতীয় দলের ‘মেন ইন গ্রিন’দের দায়িত্ব পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ৪১ বছর বয়সী গুল বলেন, ‘পাকিস্তানের বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি এবং সম্মানিত বোধ করছি। আমাকে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ করে দেওয়ায় পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এর আগেও ছেলেদের দলটির সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমার লক্ষ্য এই দফায় পেস বিভাগকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
আরও পড়ুন
এদিকে, জাতীয় দলের স্পিন বিভাগের দায়িত্ব পাওয়া সাঈদ আজমল এর আগে নম্বর ওয়ান ওয়ানডে বোলার ছিলেন। ২০০৮ সালে পাকিস্তান জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া এই অফ-স্পিনার ৩৫ টেস্ট, ১১৩টি ওয়ানডে ও ৬৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পেয়েছেন ৪৪৭ উইকেট। এরপর পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন ৪৬ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার।
দায়িত্ব পেয়ে পাকিস্তানকে ‘স্পিনারদের সমৃদ্ধ ভান্ডার’ উপহার দেওয়ার প্রত্যয় আজমলের কণ্ঠে, ‘এই দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে পিসিবি আমাকে অনেক সম্মানিত করেছে, তাই তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। জাতীয় দলের স্পিন বিভাগের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় আমি অনেক আনন্দিত। আমার বিশ্বাস— ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং অতীত কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা জাতীয় দলেও স্পিনারদের নিয়ে সমৃদ্ধ ভান্ডার গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’
এএইচএস