ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়ে বিশ্বকাপের এলিট ক্লাবে হেড
বিশ্বকাপের শুরুতে যার থাকা না থাকা নিয়ে ছিল সংশয়, সেই ট্রাভিস হেডই শেষ পর্যন্ত হলেন নায়ক। বিশ্বকাপের ফাইনালে খেললেন ১৩৭ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। আর বল হাতে ২ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়িয়েছেন। ফিল্ডিংয়ে নিয়েছেন রোহিত শর্মার দুর্দান্ত এক ক্যাচ। সবমিলিয়ে ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচের খেতাবটা জিতেছেন সেই হেডই।
আর এই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে বিশ্বকাপের এক এলিট ক্লাবে নাম লেখালেন হেড। যে তালিকায় তার আগে নাম আছে মাত্র তিনজনের। এক আসরে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল, দুই ম্যাচেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়ার বিরল কীর্তি গড়েছেন ট্রাভিস হেড। এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ৬২ রানের ইনিংস। বল হাতে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।
সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে টানা ম্যাচসেরা হওয়ার প্রথম কীর্তি গড়েছিলেন ভারতের মহিন্দর অমরনাথ। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৬ রান আর ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন অমরনাথ, আর ফাইনালে বল হাতে ছিলেন উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ের বড় কারিগর ছিলেন কিংবদন্তি অরবিন্দ ডি সিলভা। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সেমিতে ১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল লঙ্কানরা। সেখান থেকেই শুরু হয় ডি সিলভার দুর্দান্ত ইনিংস। তার রেখে যাওয়া ভিতের উপরেই সেদিন খেলেছিলেন আর্জুনা রানাতুঙ্গা, রোশান মহানামা কিংবা হাসান তিলকারত্নেরা। ৬৬ রান করা অরবিন্দ ডি সিলভা পরে উইকেটও পেয়েছিলেন। আর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। দুই ম্যাচেই ছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।।
আর এরপর এই কীর্তিতে নাম লেখান অজি স্পিন গ্রেট শেন ওয়ার্ন। ১৯৯৯ সালের সেমিতে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিষ্ময় উপহার দিয়েছিলেন এই স্পিন কিংবদন্তি। আর ফাইনালে তো পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দেননি তিনি। লর্ডসের ফাইনালেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন শেন ওয়ার্ন। দুই যুগ পর এবার যেমনটা করে দেখালেন ট্রাভিস হেড।
জেএ