ভারতের বিপক্ষে যে একাদশ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার
বিশ্বকাপের শুরুটা হয়েছিল দুই হার দিয়ে। এরপরও নামটা যে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। তাই হয়তো কোনো পর্যায়েই তাদেরকে গোনার বাইরে ধরেননি কেউ। প্যাট কামিন্সের দলও মাঠের পারফরম্যান্সে তারই প্রতিদান দিয়েছেন। অষ্টমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে এরপর টানা ৮ ম্যাচ জিতেছে অজি বাহিনী। আরও একবার শিরোপা জয়ের পথে তাদের সামনে একমাত্র বাধা ভারত। আজ (রোববার) আহমেদাবাদের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া প্রায় অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামতে পারে।
যদিও অজি শিবির ফাইনালে মারনাস লাবুশেনের জায়গায় মার্কাস স্টয়নিসের কথা ভাবতে পারে। তবে ভারতের এমন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে লাবুশেনের ওপরই বেশি আস্থা রাখার কথা অস্ট্রেলিয়ার। সেক্ষেত্রে তাদের একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম। অর্থাৎ লাবুশেন ও স্টিভ স্মিথের দুজনই একাদশে থাকতে পারেন। দলটিতে এখন পর্যন্ত আশা দেখাতে ব্যর্থ কেবল উইকেটরক্ষক জস ইংলিস, তবুও অজিরা আস্থা রেখেছেন তরুণ এই ব্যাটারের ওপর।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে তিনজনের থাকাটা নিশ্চিতই বলা চলে। বাঁ-হাতি অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার চলতি বিশ্বকাপের ১০ ম্যাচে ৫২৮ রান করেছেন। ৫২.৮০ গড়ের সঙ্গে দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে ট্র্যাভিস হেডকে। চোটের কারণে বিশ্বকাপের শুরুর দিকে কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। এরপর ফিরেই তিনি একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। বেশ ভালো স্ট্রাইক রেটও তার, প্রায় ১৪০। ভারতের বিপক্ষে শুরুতেই ঝড় তুলতে বড় ভরসা হেড। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে বলও করতে পারেন তিনি। হেডের অনুপস্থিতিতে মিচেল মার্শ ছিলেন ওপেনিংয়ের ভরসা। তার প্রতিদানও দিয়েছিলেন, সবমিলিয়ে ৯ ম্যাচে ৪২৬ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার।
মিডল অর্ডারে অস্ট্রেলিয়ার বড় আস্থার জায়গা স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। চার নম্বরে নামবেন স্মিথ। যদিও ৯ ম্যাচে ২৯৮ রান করা সাবেক এই অজি অধিনায়ক এ আসরে তেমন ফর্মে নেই। তবুও স্মিথের মতো ব্যাটারকে ফাইনালে বসিয়ে রাখার সুযোগ নেই। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করা লাবুশেনও ভারতীয় কন্ডিশনে প্রাধান্য পাবেন। ১০ ম্যাচে ৩০৪ রান করেন তিনি, সঙ্গে রয়েছে তার স্পিন সামর্থ্যও। ম্যাক্সওয়েল প্রতিপক্ষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন সেটি না বললেও চলে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনি একাই ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। তার ১২৮ বলে ২০১ রানের ইনিংস না থাকলে হয়তো সেমিফাইনালে ওঠা সমস্যা হত অস্ট্রেলিয়ার। পাশাপাশি অফ-স্পিনেও বেশ কার্যকরী অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন
এরপর ক্রমান্বয়ে দেখা যেতে পারে জস ইংলিস, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউডকে। স্টার্কের চলতি বিশ্বকাপ খুব একটা ভাল যায়নি, তবুও তার সামর্থ্য কারও অজানা নয়। ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ফাইনালে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সমস্যায় ফেলতে স্টার্ক দলের বড় অস্ত্র। সঙ্গে রয়েছেন অধিনায়ক কামিন্স এবং হ্যাজলউডও। কামিন্স ১০ ম্যাচে ১৩ উইকেট এবং হ্যাজলউড ১৪ শিকার ধরেছেন। অজিদের হয়ে এই আসরে বড় একজন তারকা জাম্পা। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র স্বীকৃত এই স্পিনার একাই ২২ উইকেট নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য একাদশ : প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মারনাস লাবুশেন, জশ ইংলিস (উইকেটকিপার), অ্যাডাম জ্যাম্পা, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড।
এএইচএস