কেমন হবে ফাইনালের পিচ, কত রান উঠবে?
প্রথম সেমিফাইনালের আগে পিচ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। গত বুধবার খেলা মাঠে গড়ানোর আগমুহূর্তে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ের পিচ বদলের অভিযোগ উঠেছিল ভারতের বিরুদ্ধে। নির্ধারিত পিচে না খেলে ব্যবহৃত পিচ বেছে নেওয়া হয়েছিল সেদিন। যা নিয়ে জল অনেকদূর গড়ায়। পরে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয় আইসিসি।
ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম হলেও, সেই বিতর্ক সেখানেও পৌঁছে গেছে। কারণ শিরোপার মঞ্চের একটি দল স্বাগতিক ভারত। ফাইনাল ভেন্যুতে পা রেখেই রোহিত শর্মা ও রাহুল দ্রাবিড়রা পিচ ভালো করে খুঁটে দেখেছেন। বাদ যাননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও।
আরও পড়ুন
সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও পিচ বদল হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিলেন আইসিসির প্রধান পিচ কিউরেটর অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। তবে ফাইনালের আগে আহমেদাবাদে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাকে। ভারতের বোর্ডের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, ‘অ্যাটকিনসনের কাজ শেষ। তাই জন্যে চলে গিয়েছে। দয়া করে এখানে কোনও বিতর্ক খুঁজতে যাবেন না। কারণ কোনও বিতর্কই নেই এতে। আইসিসির কোনো নিয়মেই লেখা নেই যে ফাইনালে প্রধান পিচ প্রস্তুতকারককে থাকতেই হবে।
এদিকে অ্যাটকিনসনের এই না থাকায় শুরু হয়েছে নতুন বিতর্কও শুরু হয়েছে। পিচ তৈরির পুরো কা’জই শেষ করছেন ভারতীয়রা। এনডিটিভির খবর বলছে, ‘শুক্রবার বিসিসিআইয়ের প্রধান মাঠকর্মী আশিস ভৌমিক আর তার সহকারী তাপস চ্যাটার্জি ভারতের সাবেক পেসার ও বিসিসিআইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটের মহাব্যবস্থাপক আবে কুরুভিল্লাকে নিয়ে পিচ তৈরির বিষয়টি দেখতে গিয়েছিলেন।
ফাইনালের পিচ কেমন হবে, এটা বোলার না ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করবে, সেটারও একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে এনডিটিভির সেই প্রতিবেদনে। সে অনুযায়ী, পিচ তৈরির যে প্রক্রিয়া লক্ষ করা গেছে, তাতে বলাই যায়, ফাইনালের উইকেট একটু মন্থরই হবে। কারণ, খুব ভারী রোলার দিয়ে পিচ রোল করতে দেখা গেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ঊদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানায়, ‘কালো মাটির ওপরে খুব ভারী রোলার ব্যবহার করা হয়েছে, বুঝতেই হবে যে একটি মন্থর ব্যাটিং উইকেট তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে আপনি বড় স্কোর পাবেন ঠিক, কিন্তু নিয়মিত আসবে না। ৩১৫ রানও এখানে যথেষ্ট হতে পারে। তবে পরে ব্যাটিং করাটা কঠিন হবে।’
এফআই