মিলারের ব্যাটে তাকিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
ভারত বিশ্বকাপে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিতে পা রাখতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি প্রোটিয়াদের। তবে তাদের সবচেয়ে বড় বাধা যে—সেমিফাইনাল। চোকার তকমা ঝেড়ে ফাইনালের টিকিট কাটতে আজ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি টেম্বা বাভুমার দল। কলকাতায় টস জিতে আগে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এখনও পর্যন্ত ৩৯ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মিলার। অপর অপরাজিত ব্যাটার কোয়েটজের সংগ্রহ ১৭ রান।
ইডেন গার্ডেন্সের উইকেট আজ তার নিজস্ব রূপ বদলে মৃত্যু ফাঁদ হয়ে যেন অপেক্ষা করছিল প্রোটিয়াদের জন্য। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েন কুইন্টন ডি কক-টেম্বা বাভুমারা। নতুন বলে বাড়তি বাউন্স আর সুইংয়ে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন তারা।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাভুমাকে ফিরিয়েছেন স্টার্ক। এই প্রিমিয়াম পেসারকে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন কিউই অধিনায়ক। ৪ বল খেলে ডাক খেয়েছেন তিনি।
সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার ডিক ককও। আসর জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই ওপেনার সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন দুই নম্বরে। তবে আজ ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করে।
এর পর রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম চেষ্টা করেছেন দলকে টেনে তোলার। তবে ব্যর্থ হয়েছেন তারাও। ডুসেন ৩১ বলে করেছেন ৬ রান। আর মার্করাম ২০ বলে করেছেন ১০ রান। প্রথম ৪ উইকেট সমান ভাবে ভাগাভাগি করেছেন স্টার্ক ও হ্যাজলউড।
২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর প্রোটিয়াদের খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার যখন জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তখন কলকাতায় হানা দেয় বৃষ্টি। ১৪তম ওভার শেষে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। এরপর মিনিট ত্রিশেক বিরতির পর আবার শুরু হয় খেলা।
উইকেটে এসে ইনিংস গড়ার কাজে মন দেন মিলার-ক্লাসেন। দুজনের ব্যাটে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় দল। ৩১তম ওভারে ক্লাসেন বিদায় নিলে ভাঙে ৯৫ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। হেডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ বলে ৪৮ রান। এর পরের বলেই ফিরেছেন মার্কো জানসেনও। এই অলরাউন্ডার লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে গোল্ডেন দাক খেয়েছেন।
দুই বলে দুই উইকেট হারানোর পর জেরাল্ড কোয়েটজেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করছেন ডেভিড মিলার। ইতোমধ্যেই ব্যক্তিগত ফিফটি পেয়েছেন মিলার। এই মাইলফলক ছুঁতে খরচ করেছেন ৭০ বল।
এইচজেএস