কিউইদের বিপক্ষে যে সিদ্ধান্ত এগিয়ে দিচ্ছে ভারতকে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সেমিফাইনালের মত বড় মঞ্চে টস ভাগ্য বেশ বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সেই ভাবনা থেকে ম্যাচের আগেই রোহিত শর্মাদের আগে ব্যাট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। লিটল জিনিয়াসের পরামর্শ হোক বা স্টেডিয়ামের রেকর্ড, টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তই হয়ত মনস্তাত্বিকভাবে এগিয়ে রাখছে রোহিতদের।
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৪ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৩ ম্যাচেই আগে ব্যাট করা দলটি জয়ের শেষ হাসি হেসেছে। ২১ অক্টোবরের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ২২৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিপক্ষেও দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করে জয়ের দেখা পেয়েছিল।
পরের ম্যাচে ভারত শ্রীলংকাকে হারিয়েছে ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে। সবশেষ ম্যাচে অবশ্য গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে পরে ব্যাট করেও জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে ওই ইনিংসের আগে পর্যন্ত ম্যাচের লাগাম ছিল আফগানদের হাতে।
এছাড়া ২০১৯ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে রানতাড়া করতে গিয়েই ম্যাচ হেরেছিল ভারত। দুঃসহ সেই স্মৃতিটাও নিশ্চয়ই ভুলতে চেয়েছেন রোহিত শর্মা। সবদিক বিবেচনায় ওয়াংখেড়ের মাটিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত অনেকটা এগিয়ে রাখবে ভারতকে।
আরও পড়ুন
টস জিতলে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা নিয়ে স্টার স্পোর্টসের ‘গেম প্ল্যান’ অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিয়েছেন গাভাস্কার, ‘ভারতের মতো ভালো বোলিং আক্রমণ থাকলে আগে না পরে বোলিং করছেন, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। পরে বোলিং করলে উপকারই হবে, কারণ একটু শিশির পড়ে। বল একটু দ্রুত যাবে উইকেটকিপারের কাছে।’
এছাড়া আরও এক যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন সানি, ‘এটা (পরে বোলিং) অবশ্যই ভারতের নতুন বলে তিন বোলারকে সাহায্য করবে। কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনারও সহায়তা পাবে, বল পিচ থেকে স্কিড করাতে পারবে এবং জোরের ওপরও করতে পারবে। তাই আমার বিশ্বাস, ভারত যদি পরে বোলিং করে তাহলে ভালো হবে।
এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের কারণে পিচ আরও বেশি ধীরগতির হয়ে আসবে। সেক্ষেত্রে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব কিংবা রবীন্দ্র জাদেজারা পাবেন বাড়তি সুবিধা। পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত গতির ইনিংস খেলে মানসিকভাবে আরও অনেকটাই এগিয়ে আছে ভারত। শেষপর্যন্ত এটিই গড়ে দিতে পারে পুরো ম্যাচের পার্থক্য।
জেএ