সাকিব-তামিমের ইন্টারভিউ নিয়ে অস্বস্তিতে বিসিবি
ভারতের মাটিতে চলমান বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই দেশের বিমান ধরতে হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। যতদিন দল ভারতে ছিল, ততদিন অনেকটা আড়ালেই ছিল দুই শীর্ষ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর সেসব বিষয় নতুন করে ওঠে আসছে। আলোচনা চলছে সাকিব ও তামিমের দেওয়া ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকার নিয়েও। এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে স্বয়ং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ (মঙ্গলবার) বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু। তিনি বলেন, ‘সাকিব-তামিম-মুশফিক-রিয়াদ তো নতুন ক্রিকেট খেলছে না। তারা তাদের কোড অব কন্টাক্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের লিজেন্ডারি ক্রিকেটারদের তালিকায় তারা ওপরের দিকেই থাকবে। তারা যে কাজগুলো করেছে বা যেই ইন্টারভিউগুলো দিয়েছে– যেটা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, সেই জিনিসগুলো যদি বিশ্বকাপ শুরুর আগে না হতো। তাহলে আমরা আরও স্বস্তির জায়গাতে থাকতাম। ওইরকম যদি না হতো তাহলে হয়তো ভালো হতো।’
আরও পড়ুন
সাকিব-তামিম ইস্যুতে গণমাধ্যমেরও দায় দেখছেন টিুট, ‘এটার (বিশ্বকাপের আগে নানা ঘটনাপ্রবাহ) জন্য তাদেরকে (সাকিব-তামিম) যদি দোষারোপের আওতায় নিয়ে আসা হয়, তাহলে সেখানে আমাদের সংবাদমাধ্যমেরও ভূমিকা ছিল। এটা বলায় হয়তো আপনাদের কেউ আমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হবেন। আমি বরাবরই বলি, সংবাদমাধ্যম আর আমরা সবাই একদিকে। আমাদের যেরকম ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে, আপনাদেরও এ সহযোগিতার জায়গাটা আছে।
‘ক্রিকেট যদি থাকে, তখন আমরা সবাই থাকব। ক্রিকেট না থাকলে আমরা সবাই এ জায়গায় থাকতে পারতাম না। এ জায়গা থেকে চিন্তা করলে প্রশ্নগুলো না ওঠানোই ভালো ছিল’, আরও যোগ করেন বিসিবির এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যখন বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের বিমানে উঠেন, তখন নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও বার্তা দেন তামিম। সেখানে তাকে ব্যাটিং অর্ডার পাল্টে বিসিবি থেকে মিডল অর্ডারে নামানোর প্রস্তাব দেওয়ায় তিনি বিশ্বকাপ থেকে নিজের নাম সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান। একইদিন রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সাকিবের দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। যেখানে বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক তামিমকে জড়িয়ে আলোচনার জন্ম দেওয়া বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে যার প্রভাব দলেও পড়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।
এসএইচ/এএইচএস