দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে নেবে ‘বাভুমার জেদ’
বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল কিংবা রানতাড়ায় ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে জুটে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। তবে এবারের আসরে ভিন্ন আভাসই দিচ্ছে প্রোটিয়ারা। ছন্দময় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তারা ৯ ম্যাচে কেবল দুটিতে হেরেছে। টেবিলের দুইয়ে থেকে টেম্বা বাভুমার দল নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনাল। আগামী ১৬ নভেম্বর তারা কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। নিজের একগুঁয়েমি বা জেদ’ই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে নিয়ে যাবে বলে দৃঢ়বিশ্বাস বাভুমার।
এই প্রসঙ্গ এসেছে মূলত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাভুমা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েও মাঠে নামায়। রানতাড়ায় যে দক্ষিণ আফ্রিকা ঐতিহাসিকভাবেই দুর্বল, সেটা কাটাতেই নাকি আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা রানতাড়া করতে চেয়েছিল। যদিও টসে জিতে আফগানরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে রানতাড়া করারই সুযোগ দেয়। সে পরীক্ষায় পাস করতেই প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা জানিয়েছেন, এটা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রস্তুতি।
আফগানদের ২৪৪ রানতাড়ায় ৫ উইকেটে জয়ের পর বাভুমা বলেন, ‘আমার পায়ে ব্যথা রয়েছে। আমি জানি না এটা আরও বাড়বে কি না, তবে আমাকে অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে। আমি একটু জেদি প্রকৃতির। আমার পা ঠিক থাকতেই হবে। আমার বিশ্বাস, এই একগুঁয়েমিই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে নিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন
অসুস্থ থাকায় এবার ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারেননি বাভুমা। তবে আসরের শেষ দিকে এসে তিনি কোনো ম্যাচ মিস করতে চান না, ‘আমি হয়তো ব্যাটিং নাও করতে পারতাম। কিন্তু আমার দলের জন্য আমি মাঠে থাকতে চাই। দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বোলারদের ঠিকমতো ব্যবহার করা, দলকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার মনে হয়েছে, মাঠে থাকার সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল।’
এর আগে ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি বাভুমা। সে সময় তার বদলি হিসেবে রেজা হেনড্রিকস খেলেছিলেন। তারমধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই ৮৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন হেনড্রিকস।
আরও পড়ুন
ম্যাচটিতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন রসি ফন ডার ডুসেন। এরপরই তিনি বাভুমার চোটের কথা স্বীকার করে বলেন, বিশ্বকাপের এই সময়ে এসে অধিনায়ক বাভুমার চোট মোটেও আদর্শ কিছু নয়। তবে জেদি বাভুমা সব বাধা উড়িয়ে দলের জন্য ঠিকই দাঁড়াবেন বলেও বিশ্বাস তার, ‘তিনিই চেয়েছিলেন আমরা যেন রানতাড়া করি (আফগানিস্তানের বিপক্ষে)। এমনকি তার পায়ে চোট থাকার পরও তিনি দেখতে চেয়েছিলেন এমন পরিস্থিতিতে আমরা কেমন করি। তিনি এখনও নতুন বল মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। টেম্বা হলেন জেদি প্রকৃতির। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি দলের জন্য নিজেকে উজার করে দিতে চান।’
এএইচএস