চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ (শনিবার) অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে এদিন নাজমুল হোসেন শান্ত টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন। ভারতের পুনেতে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায়। অজিদের সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। তবুও তারা নামবে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে ওঠার লক্ষ্যে। বিপরীতে বিদায় নিশ্চিত করা বাংলাদেশের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করা।
কোনো সমীকরণ না মেলাতে চাইলে ম্যাচটিতে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের তালিকার আট নম্বরে থাকা নিশ্চিত হবে। তবে হারলেও সুযোগ থাকবে সাকিবদের, সেক্ষেত্রে গাণিতিক হিসাবটা এমন– প্রথমে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া যদি ৩৬০ রান করে, তাহলে বাংলাদেশকে অন্তত ২০০ রান করতে হবে। যদি বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করে ২০০ রান তোলে, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে ওই রান তাড়া করার জন্য খেলা টেনে নিয়ে যেতে হবে অন্তত ২৩ ওভার পর্যন্ত।
বিশ্বকাপ থেকে সবার আগেই বিদায় নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। যদিও তাদের শেষ ম্যাচটা হচ্ছে কিছুটা দেরিতেই। শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশ জয়ের ধারায় ফিরেছিল। সেই রেশটা তারা আজও টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে ফর্মে ফেরা ও আগের ম্যাচের নায়ক নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবকে না পাওয়াটাই বড় ফ্যাক্টর হতে পারে ম্যাচটিতে। সেটি অজি কোচের আলোচনায়ও ওঠে এসেছে।
আরও পড়ুন
গতকাল (শুক্রবার) ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলেননি প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আপাতত তার লক্ষ্য কেবল অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ঘিরেই, ‘অবশ্যই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার হারটা আমাদের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে আমি বিষয়টা নিয়ে ভাবছি না। আমি ভাবছি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হলে আমাদের খুবই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এখন আমাদের সব মনোযোগ সেদিকেই।’
একাদশে সাকিবের না থাকাও বড় ধাক্কা হাথুরুর কাছে। তবে বিজয়ের মতো অভিজ্ঞ কেউ বদলি হিসেবে আসাটাও বড় কিছু এই কোচের কাছে, ‘আমি নির্ভার। অধিনায়ক হারানোয় নির্ভার নই অবশ্যই। তার পরিবর্তে কাউকে পেয়ে নির্ভার। বিজয়ের মতো অভিজ্ঞ কাউকে পাওয়া স্বস্তির। যখন আপনার কাছে সাকিবের মতো ক্রিকেটার থাকবে, সে এক নম্বর অলরাউন্ডার— একজন ক্রিকেটার দুজনের কাজ করে, তাকে ছাড়া নতুন কম্বিনেশনে খেলা কঠিন। সাকিব না থাকায় বোলিংয়ে যে শূন্যতা তৈরি হবে, সেটা একজন স্পিনার কিংবা একজন পেসার দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা করব। ব্যাটিংয়ে সাকিবকে মিস করতে যাচ্ছি, সঙ্গে তার নেতৃত্বও। সুতরাং এটা কঠিন।’
আরও পড়ুন
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি বলছিলেন, ‘সাকিব না থাকা অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর। কিন্তু মুশফিকুর ও মাহমুদউল্লাহ আছে। তারা অভিজ্ঞ, বিশ্বকাপে অনেক রান আছে। আমরা আশা করছি কাল দুই মেহেদি-ই (মেহেদি মিরাজ ও শেখ মেহেদি) খেলবে।’
২০০৫ সালে কার্ডিফে একবারই অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ানডেতে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, গেল ১৮ বছর অবশ্য সেভাবে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা হয়নি। তাছাড়া বর্তমান দলে থাকা নাজমুল শান্ত, তাওহিদ হৃদয়দের অনেকেই এই অজি বোলারদের কখনও মোকাবিলা করেননি। তাই অস্ট্রেলিয়া অনেকটাই অচেনা টাইগারদের কাছে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে স্পিনাররা ভালো করেছিলেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেমন শান্তরা রান পেয়েছিলেন– দুটি ম্যাচের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজকের ম্যাচে নামবে বাংলাদেশ।
এসএইচ/এএইচএস