টাইমড আউটে অবিচারের শিকার, প্রমাণসহ বিবৃতি দেবে শ্রীলঙ্কা!
ম্যাথিউসকে টাইমড আউট করা নিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, যদি নিয়মে থাকে আমি সেই সুযোগ নিতে পিছপা হব না। মাঠের চতুর্থ আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টকও এমন বিরল আউটের নিয়মের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইমড আউট হওয়া ম্যাথিউসের দাবি তাকে আউট করতে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে। সেই প্রমাণও তাদের কাছে আছে। এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও দেবে শ্রীলঙ্কা।
ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ২৫তম ওভারে। বল করতে আসেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে চার খাওয়ার পরের বলে লঙ্কান ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমা ক্যাচ আউট হন। সে সময় স্থানীয় ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছিল ৩টা ৪৯ মিনিট।
এরপর ব্যাট করতে নামেন ম্যাথিউস। যে হেলমেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন, সেটিতে স্বস্তি বোধ করছিলেন না। পরে নতুন আরেকটি হেলমেট নিয়ে আসা হয়। সেটিতেও খানিকটা সমস্যা ছিল। তাই আবারও হেলমেট পরিবর্তন করতে চান ম্যাথিউস। কিন্তু ততক্ষণে মিনেট তিনিকের বেশি সময় পার হয়ে যায়। টাইম আউটের আবেদন করেন সাকিব। আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩টা ৫৫ মিনিটে আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার মারইয়াস ইরাসমাস।
আরও পড়ুন
ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে হেলমেট ছুঁড়ে মারেন অভিজ্ঞ ম্যাথিউস। ম্যাচশেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে ম্যাথিউসের জবাব, 'আমরা তাদেরই সম্মান করি, যারা আমাদের সম্মান করে। তাদের খেলাটিকে সম্মান করতে হবে। আম্পায়ারসহ আমরা সবাই খেলাটির দূত। তাই সম্মান না দিলে, সাধারণ বুদ্ধিটুকু না খাটালে আর কিইবা বলতে পারি।'
সাকিবের প্রতি যে সম্মানটা ছিল ম্যাথিউসের তা হয়তো আর থাকবে না। তবে নিজের এমন আউট নিয়ে ম্যাথিউস, 'দেখুন আজকের আগপর্যন্ত সাকিব ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি আমার পরম শ্রদ্ধা ছিল। অবশ্যই আমরা সবাই জয়ের জন্য খেলি। এটা যদি নিয়মের মধ্যে হতো তাহলে ঠিক হতো। নিয়মে পরিষ্কার বলা আছে দুই মিনিটের ভেতর আমাকে সেখানে থাকতে হবে। আমাদের ভিডিও ফুটেজ আছে, সেটা পরে বিবৃতিতে প্রকাশ করব। আমি এখানে এসে যা ইচ্ছা তাই বলছি না। আমি প্রমাণের সঙ্গেই কথা বলছি। হেলমেটের ফিতা ছিঁড়ে যাওয়ার পরও আমার হাতে পাঁচ সেকেন্ড সময় ছিল।'
ম্যাথিউস নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছিলেন জানিয়ে বলেন, 'আমরা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলি, তাই না? আপনারাই বলুন, হেলমেট ছাড়া গার্ড নেওয়াটা কি আমার জন্য ঠিক হতো? এটাই পিউর কমনসেন্স। সেই কারণে ওই মুহূর্তে আম্পায়ারদের কাজটা আরও বড় ছিল। স্পিনারদের বোলিংয়ের সময় উইকেটরক্ষককেই হেলমেট ছাড়া দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। তাহলে আমি কীভাবে হেলমেট ছাড়া গার্ড নিতে পারি?'
এসএইচ