প্রথম পাওয়ার প্লেতে সবচেয়ে খারাপ বাংলাদেশ
উইকেট, কন্ডিশন কিংবা প্রতিপক্ষ যা কিছুই আপনি বিবেচনা করেন, ক্রিকেটে ইনিংসের শুরুর ৩০ মিনিট দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বলে বোলাররা বাড়তি সুবিধা পান—বল শাইনি থাকায় মুভমেন্ট ভালো হয়, যেটা কাজে লাগিয়ে বাড়তি সুইং আর বাউন্স আদায় করে নেন পেসাররা। অন্যদিকে প্রথম পাওয়ার প্লেতে মাত্র দুইজন ফিল্ডার ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে থাকতে পারে, যা ব্যাটারদেরকে বাড়তি সুবিধা দেয়। সবমিলিয়ে এই দশটা ওভার ইনিংসের ভিত গড়ার জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ।
ভারত বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগটা বাংলাদেশের জন্য ভারত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার চেয়ে কোনো অংশে কম কষ্টের কাজ না! সেটা তাদের পারফরম্যান্স দেখলেই স্পষ্ট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক প্রত্যাশিত জয় ছাড়া বাকিটা জুড়ে কেবলই হতাশা। অথচ ওয়ানডে সুপার লিগে তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করেছিল টাইগাররা।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে এসে সাকিব আল হাসানের দলের এমন ভরাডুবির বড় কারণ ব্যাটিং। বিশেষ করে টপ অর্ডার।
চলমান বিশ্বকাপের একটা পরিসংখ্যান বাংলাদেশের টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার চিত্রটা আরও স্পষ্ট করে দেবে। এখনও পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম দশ ওভারের মধ্যে তারা উইকেট হারিয়েছে ১৬টি। অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি ২.২৯টি। আসরে প্রথম পাওয়ার প্লেতে আর কোনো দল এর চেয়ে বেশি উইকেট হারায়নি।
বাংলাদেশের পরেই আছে ইংল্যান্ড। ইংলিশরাও বাংলাদেশের সমান ম্যাচ খেলে প্রথম পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারিয়েছে ১৫টি। অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি ২.১৪টি। তিনে থাকা শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ১৪টি, নেদারল্যান্ডস ১২টি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১০টির বেশি উইকেট হারানো দল এই চারটিই। পয়েন্ট তালিকার দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, এরাই তলানির চার দল।
এইচজেএস