অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে বাংলাদেশের নিচেই রইল ইংল্যান্ড
টানা চার হারে সেমির লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে ইংল্যান্ড। এখন তাদের লড়াইটা কেবল পয়েন্ট টেবিলের তলানি থেকে উপরে ওঠার। তাই আজকের ম্যাচটা তাদের জন্য মান রক্ষারই ছিল। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে ইংলিশরা। অন্যদিকে সেমির দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়টা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত সেটা তারা করতে পেরেছে। ৩৩ রানের জয়ে সেমির দৌড়ে আরেক পা এগিয়ে গেল অজিরা।
শনিবার (৪ নভেম্বর) আহমেদাবাদে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন ল্যাবুশেন। অজিদের হয়ে ৫৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ক্রিস ওকস। জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ১ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে বেন স্টোকসের ব্যাট থেকে।
২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফেরেন তিনি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জো রুটও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ রান। ১৯ রানে দুই টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছে দল তখন হাল ধরেন বেন স্টোকস ও ডেভিড মালান। এই দুই ব্যাটারই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন।
৫০ রান করে মালান বিদায় নিলে ভাঙে ৮৪ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। এরপর স্টোকস এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করলেও বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে জয়ের পথ কঠিন করে ফেলে ইংলিশরা।
৬৪ রান করে স্টোকস বিদায় নিলে সেই পথটা আরো কঠিন হয়ে ওঠে। শেষদিকে মঈন আলী আশা দেখালেও থেমেছেন ৪২ রানে। ফলে জয়ের দেখাও মিলেনি ইংলিশদের। সবমিলিয়ে আসরে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়নেট টেবিলের তলানিতে অবস্থান ইংলিশদের। সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে নয় নম্বরে আছে বাংলাদেশ।
এর আগে নতুন বলে দুর্দান্ত শুরু করেন ইংলিশ পেসাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ট্রাভিস হেডকে সাজঘরে ফেরান ক্রিস ওকস। ১১ রান করে এই ওপেনার ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নারও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান।
৩৮ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছে অজিরা, তখন হাল ধরেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস ল্যাবুশেন। তৃতীয় উইকেটে এই দুইজনের ৭৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে দল। ৪৪ রান করে ফেরেন স্মিথ। তবে ফিফটি পেয়েছেন ল্যাবুশেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৩ বলে করেছেন ৭১ রান।
ফিফটি পেতে পারতেন ক্যামেরুন গ্রিনও। তবে ভাগ্য তার সঙ্গে ছিল না। ৪৭ রানে বোল্ড হয়েছেন। গ্রিন ফেরায় ঘুরে যায় খেলার মোড়ও। শেষদিকে প্যাট কামিন্স-মিচেল স্টার্করা দ্রুত ফেরায় তিনশো ছোঁয়ার আগেই অলআউট হয় অজিরা।
এইচজেএস