পান্ডিয়ার জন্য আরও অপেক্ষা বাড়ছে ভারতের
বিশ্বকাপ যাত্রাটা বেশ মসৃণ-ই কাটছে স্বাগতিক দেশ ভারতের। সে কারণে হার্দিক পান্ডিয়ার মতো ছন্দে থাকা অলরাউন্ডারকে না পাওয়ার ঘটনা তাদের সেভাবে ভুগতে দিচ্ছে না। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারত এখন পর্যন্ত খেলা বিশ্বকাপের ৬টি ম্যাচেই জিতেছে। তবুও শক্তিশালী একাদশ গঠনে পান্ডিয়াকে পেতে মরিয়া রোহিত শর্মার দল। তাদের সেই অপেক্ষার প্রহর আরও বাড়ছে। আগামী দুই ম্যাচেও মাঠে নামতে পারছেন না এই পেস অলরাউন্ডার।
ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, লিগ পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগে পান্ডিয়াকে সম্ভবত দলে ফেরাবে না ভারত। তাকে দ্রুত দলে ফিরিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। আগামী ২ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে ভারত।
সর্বশেষ ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ের সময় চোটে পড়েন পান্ডিয়া। বোলিংয়ের ফলো-থ্রুতে পা দিয়ে বল ঠেকাতে গিয়ে এই চোট পেয়েছিলেন। স্ক্যান করানোর পর পরের দুই ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সর্বশেষ ম্যাচে পান্ডিয়ার ফেরার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু অ্যাঙ্কেল ও লিগামেন্টের চোটে কাতর পান্ডিয়াকে দ্রুত ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন
বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে এখন চোট থেকে ফেরার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন পান্ডিয়া। তার বোলিং-ব্যাটিং দুটোই পেতে চায় ভারত। তাই পুরোপুরি সুস্থ পান্ডিয়াকেই মাঠে পাওয়ার লক্ষ্য তাদের। তার বদলি হিসেবে গত দুই ম্যাচের একাদশে ভারতসূর্যকুমার যাদবকে নেয়। আর শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় ফিরেছিলেন মোহাম্মদ শামি। সূর্যকুমার ২ রানে আউট হলেও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। অবশ্য পরের ম্যাচে সূর্যকুমার দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ৪৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) November 1, 2023
এদিকে, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে’ই পান্ডিয়ার চোটের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন খবর দেওয়ার আশায় আছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে পান্ডিয়ার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়েছেন ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে অপরাজিত ভারত আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) নিজেদের সপ্তম ম্যাচে রোহিতের দল শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।
এএইচএস