বিশ্বকাপে রেকর্ড চতুর্থ সেঞ্চুরি ডি ককের
বিদায়ের মঞ্চটা রাঙিয়ে যাচ্ছেন কুইন্টন ডি কক। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, চলতি আসর দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতি টানবেন প্রোটিয়া এই উইকেটকিপার ব্যাটার। শেষ আসর খেলতে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভাঙছেন একের পর এক রেকর্ড। শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা সেঞ্চুরির পর বাংলাদেশ এবং সর্বশেষ আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন।
এক বিশ্বকাপে চার সেঞ্চুরির রেকর্ডে লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার (২০১৫ বিশ্বকাপ) পাশে বসলেন ডি কক। আর একটি সেঞ্চুরি হলেই ছুঁয়ে ফেলবেন রোহিত শর্মার এক আসরে (২০১৯ বিশ্বকাপ) সর্বোচ্চ পাঁচ সেঞ্চুরির রেকর্ড। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এবারের আগে বিশ্বকাপে ডি ককের শতরানের ইনিংস ছিল না একটিও।
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি, এক বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও এখন ডি ককের দখলে। এ ছাড়া চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের (৫৪৫ রান) মালিকও প্রোটিয়া এই ওপেনার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঠিক ১০০ রান দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেন ডি কক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচে করেন ১০৯। এরপর নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাসেনি তার ব্যাট, যথাক্রমে ২০ ও ৪ রানে আউট করেন ডি কক। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও রানে ফেরেন তিনি। ওই ম্যাচে ১৭৪ রানের ইনিংসের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ২৪ রান।
আজ আবারও হেসেছে ডি ককের ব্যাট। ইনিংসের ৩৬ ওভারের শেষ বলে জিমি নিশামকে ছক্কা হাঁকিয়ে ১০৩ বলে চলতি আসরে নিজের চতুর্থ শতরান পূর্ণ করেন ডি কক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ২১ তম হান্ড্রেড। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল এবি ডি ভিলিয়ার্স (২৫) ও হাশিম আমলার (২৭)।
সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অবশ্য। সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের তালুবন্দি হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৬ বলে ১০ চার ও তিন ছক্কায় ১১৪ রান করেছেন।
বিশ্বকাপের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে পুনেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আরেকটা বড় পুঁজি গড়ার পথে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তিনশোর পথে।
এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি
রোহিত শর্মা-৫টি (২০১৯ বিশ্বকাপ)
কুমার সাঙ্গাকারা-৪টি (২০১৫ বিশ্বকাপ)
কুইন্টন ডি কক-৪টি (২০২৩ বিশ্বকাপ)
এফআই