বিশ্বকাপে ফিরেই ঝলক দেখালেন ম্যাথিউস
সর্বশেষ এশিয়া কাপ থেকেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল যেন জীবন্ত এক হাসপাতাল। একের পর এক ক্রিকেটারের চোটে স্কোয়াড সাজানো নিয়েই বিপাকে পড়ে লঙ্কানরা। চোটের কারণে বিশ্বকাপ খেলতে পারছেন না তারকা স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
বিশ্বকাপে একের পর এক হার। এর মাঝেই আসে বড় ধাক্কা। অধিনায়ক দাসুন শানাকার পর ছিটকে পড়েন তরুণ পেসার মাথিশা পাথিরানাও। তরুণ এই পেসারের চোটে কপাল খুলে যায় অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের। বিশ্বকাপের মাঝপথে তাকে দলে নেয় শ্রীলঙ্কা।
গত জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন ম্যাথিউস। এরপর জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু ধারাবাহিক ফর্ম না থাকায় তাকে বিশ্বকাপ দলের বিবেচনায় রাখা হয়নি। সেই ম্যাথিউস ফিরলেন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। প্রত্যাবর্তনটা রাঙালেন দারুণভাবে।
বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ১৫৬ রানে আটকে দেওয়ার নেপথ্য কারিগর বুড়ো ম্যাথিউস। ৫ ওভার বল করে এক মেইডেনে মাত্র ১৪ রান খরচায় মূল্যবান ২টি উইকেট তুলে নেন ম্যাথিউস।
নিজের স্পেলের তৃতীয় বলেই উইকেট পান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটকিপার কুশাল মেন্ডিসের ক্যাচ বানিয়েছেন ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা ডেভিড মালানকে। ইংলিশ ওপেনার আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৬ চারে করেছেন ২৮ রান।
মালান যখন আউট হন, ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ৪৫। দ্বিতীয় স্পেলে এসে তুলে নেন মঈন আলীকেও। শুধু বল হাতে নয়, ফিল্ডিংয়েও সরাসরি অবদান রেখেছেন ম্যাথিউস। বোলিংয়ের সঙ্গে একটি রানআউট ও ক্যাচ নিয়েছেন।
প্রথম ইনিংস শেষে ব্রডকাস্টারকে ম্যাথিউস বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে নিজের সাথে নিজেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। যদি ডাক পড়ে (বিশ্বকাপে), সেজন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি। যদিও শ্রীলঙ্কায় এখন প্রচুর বৃষ্টি। আর তাই খুব বেশি ক্রিকেট খেলা হয়নি। কিন্তু মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।’
এফআই