‘বায়ুদূষণের’ কারণে ঠিকভাবে খেলতে পারছে না ইংল্যান্ড!
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড চলমান বিশ্বকাপে একেবারে ব্যাকফুটে রয়েছে। এখন পর্যন্ত খেলা চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে ইংলিশরা। তাদের সেই ক্ষত আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ‘আন্ডারডগ’ আফগানিস্তানের কাছে হার। জস বাটলারদের এমন ছন্দপতনের কারণটা নাকি ক্রিকেটীয় কিছু নয়, জো রুটের মতে— ভারতের অতিরিক্ত বায়ুদূষণই তাদের ঠিকমতো খেলতে দেয়নি!
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে বর্তমানে ইংলিশদের অবস্থান সবার তলানিতে। এ নিয়ে রুট বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আমি আগে কখনও খেলিনি। আমি প্রচণ্ড গরমে যেমন খেলেছি, আবার আদ্র পরিস্থিতিতেও খেলেছি। তবে এবার যে অবস্থা ছিল তাতে দমও ফেলতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল যেন আমি বাতাস খাচ্ছিলাম। সম্পূর্ণ অন্যরকমের, ক্লাসেনকে (হেইনরিখ) দেখলেই বোঝা যায় সেটি।’
আরও পড়ুন
এরপর মাঠের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেন ইংল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ওয়ানডে ম্যাচ বেশি না খেলাকে দায়ী করে ফরম্যাটটির প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন ছুড়ে দেন রুট, ‘৫০ ওভারের ক্রিকেট এখন কতটা প্রাসঙ্গিক সেটাও বিষয়। আমি জানিনা ভবিষ্যতে এটা পাল্টে যাবে কিনা। বলা যায় না, অনেক কিছুই হতে পারে ভবিষ্যতে। ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, বিশ্বকাপে নামার আগে আমাদের এই সংস্করণে বেশি খেলা হয়নি। আমি নিজেকে প্রশ্ন করি যে ঘরোয়া ক্রিকেটে আমাদের এই সংস্করণ নাকি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বেশি খেলা উচিত!’
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) October 23, 2023
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ইংল্যান্ড এবার তাদের বিপক্ষে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায় তারা। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দলটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তো রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়েছে। চারশ রানের জবাবে তারা হেরেছে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ২২৯ রানের (রানের হিসাবে) ব্যবধানে।
ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ভেন্যু মুম্বাইয়ে সেদিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি, তার সঙ্গে ধোঁয়াটে অবস্থার মধ্যে বায়ুর গুণমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসাবে রেট করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মাঠে উভয় পক্ষের খেলোয়াড়দেরই হাঁপাতে দেখা গিয়েছে।
শুধু মুম্বাই কিংবা দিল্লি নয়, পুরো ভারতেই বায়ুর গুণমানের সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। গত বছরও দেশটির গড় একিউআই ছিল ১৪৪। ভারতের চেয়ে বাজে অবস্থা ছিল কেবল কুয়েত, বুরকিনা ফাসো, বাংলাদেশ, বাহরাইন, পাকিস্তান, ইরাক এবং চাঁদের।
এএইচএস