ম্যাচ হারের কারণ খুঁজে পেয়েছেন বাবর
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাটিতে শুরুটা কি দারুণই করেছিল পাকিস্তান! প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর তারা হোঁচট খেতে শুরু করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। সেই ম্যাচে তারা কোনো লড়াই-ও জমাতে পারেনি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালোরে গতরাতের ম্যাচে হেরেছে ৬২ রানে। ব্যক্তিগতভাবেও জ্বলে উঠতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ম্যাচ শেষে তিনি হারের কারণ খুঁজে বের করেছেন।
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৬৭ রানের ভিত গড়ে দেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ১৬৩ রানের ইনিংসে তিনি দু’বার জীবন পেয়েছিলেন। মাত্র ১০ রানে উসামা মির এবং সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর তার ক্যাচ হাতছাড়া করেন আব্দুল্লাহ শফিক। আর সেসব ক্যাচ মিসকেই হতাশায় পোড়ার বড় কারণ হিসেবে দেখছেন পাক অধিনায়ক বাবর।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘প্রথম ৩৪ ওভারের বোলিং এবং ফিল্ডিং ম্যাচ থেকে আমাদের ছিটকে দিয়েছে। আমরা ওয়ার্নারের সহ আরও একাধিক ক্যাচ মিস করেছি। এ ধরনের ব্যাটার জীবন পেলে সেটার মূল্য দিতেই হবে। এটি বড় রানের মাঠ এবং শুরুতেই আমরা এমন সুযোগ হাতছাড়া করেছি। তবে শেষ ১৫ ওভারে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এজন্য পেসার এবং স্পিনারদের কৃতিত্ব দেব।’
প্রথম ইনিংসের শেষদিকে অজিদের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত। তবে এক ওভারে পরপর দুই উইকেট নিয়ে তাতে লাগাম টানেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। শেষ পর্যন্ত ৫২ রানে তিনি পাঁচ উইকেট নেন। এছাড়া হারিস রউফ নেন ৩ উইকেট। ফলে চারশ রানের দৌড়ে থাকলেও সেটি সম্ভব করতে পারেননি অস্ট্রেলিয় ব্যাটাররা। যার জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন বাবর।
আরও পড়ুন
এরপর ব্যাটিংয়ে কী পরিকল্পনা ছিল, সেটিও জানালেন ২৯ বছর বয়সী বাবর, ‘ব্যাটারদের সাহস দেওয়া হয়েছিল যে— আমরা এটি (বড় রান) টপকাতে পারব। আমরা সেভাবেই শুরুটা করেছিলাম এবং লাইটের আলোতে বলও সেভাবে আসছিল। আমরা শুরুতে পার্টনারশিপ পেয়েছি, তবে মিডল অর্ডারেও বড় জুটির দরকার ছিল। সেটি না হওয়ায় ভিন্ন ফল দেখতে হয়েছে।’
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ৪ ম্যাচে দুটিতে জিতেছে পাকিস্তান। ৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান পাঁচে। সমান পয়েন্ট পেলেও নেট রানরেটের হিসাবে তাদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমান চারটি করে ম্যাচ জিতে টেবিলের এক ও দুইয়ে অবস্থান নিউজিল্যান্ড ও ভারতের। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার তিনে রয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর পরবর্তী ম্যাচে পাকিস্তান লড়বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
এএইচএস