ডেলিভারি বয় থেকে জাতীয় হিরো, ডাচ ক্রিকেটারের রূপকথার গল্প
দীর্ঘ ১২ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে ভারতের ধর্মশালায় রূপকথা লিখেছে নেদারল্যান্ডস। শুধু তাই নয় রূপকথার গল্প হয়েছেন ডাচ ক্রিকেটার পল ভ্যান মিকেরেন। এ যেন গলি থেকে রাজপথে পৌঁছানোর গল্প!
উবার ইটসের সামান্য এক ডেলিভারি বয় থেকে বিশ্বকাপের তারকা বনে গেছেন নেদারল্যান্ডসের পেস বোলার পল ভ্যান মিকেরেন।
এদিকে এবারের বিশ্বকাপে শুরুতেই শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল আফ্রিকা। সেই প্রোটিয়ারা কি না নাস্তানাবুদ হয়েছে ডাচ ক্রিকেটারদের সামনে। মূলত ডাচদের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কাছেই হারতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। আগে ব্যাট করা ‘কমলা শিবির’ ৪৩ ওভারে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দেয়, সেই রানতাড়ায় টেম্বা বাভুমার দল মাত্র ২০৭ রানেই গুটিয়ে যায়।
এরপর থেকেই ডাচ ক্রিকেটারদের জীবনসংগ্রামের গল্প নিয়ে রীতিমতো চর্চা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। ভ্যান মিকেরেন ছিলেন উবের ইটসের সামান্য একজন কর্মী। করোনার দাপটে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় বেশ চিন্তায় ছিলেন ভ্যান মিকেরেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক চাহিদার জন্য উবার ইটসে খাবার ডেলিভারির কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন
তবে জীবন কখন বদলে যায় কেউ জানেন না। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল। প্রোটিয়া শিবিরকে ৩৮ রানে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। পল মিকেরেন ৪০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন। ফিরিয়েছেন মার্করাম ও জ্যানসেনকে।
একসময়ে এই মিকেরেনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, যা সঞ্চয় করেছিলাম, সেগুলো খরচ করতে চাই না। আমার সব সঞ্চয় প্রায় শেষের পথে। শীতকালে কী করব, তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। কারণ ক্রিকেট নেই। আমাকে যে অর্থ উপার্জন করতেই হবে। প্রোটিয়া শিবিরকে হারানোর পরে পল মিকেরেনের সেই পুরনো সাক্ষাৎকার, টুইট ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে।
এমএসএ