বাংলাদেশের এমন পরাজয়ের কারণ ‘মিরপুরের মাঠ’
গত কয়েক বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দল লো-স্কোরিং বোলিং পিচ বানিয়ে খেলে আসছে। যার ফলে টাইগাররা সিরিজ জিতলেও ‘যদি-কিন্তু’র প্রশ্ন থেকেই গিয়েছিল। কেননা সেসব সিরিজে পুরোটা জুড়েই দাপট দেখিয়েছিলেন বোলাররা। পরবর্তীতে চলমান বিশ্বকাপের স্পোর্টিং পিচে টাইগাররা এবার রান করতে না পারায় মিরপুরের পিচকেই দুষছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক।
গতকাল ম্যাচশেষে পাকিস্তানি চ্যানেল ‘এ স্পোর্টস’- এর ক্রিকেট শো’তে এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন শোয়েব মালিক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে সিরিজগুলো জিতেছে, সবকটিই ছিল লো-স্কোরিং। তাদের স্পিনারদের পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টা ভালোভাবেই নজরে আসে। এই ঘটনা কিন্তু আমাদের সঙ্গেও হয়েছিল।’
আরও পড়ুন
ঠিক একই পরিস্থিতি পাকিস্তানের ক্রিকেটও পার করেছিল বলে মন্তব্য পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডারের, ‘একসময় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে শুধু পেস সহায়ক উইকেট বানানো হতো। তাতে ১৪০-এর বেশি গতিতে বোলিং করা পেসার আসা কমে যায়। একপর্যায়ে স্পিনাররাও কম আসতে শুরু করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমন। তাদের মিরপুরে রান করা মোটেও সহজ নয়।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন টাইগার ওপেনার লিটন দাস। যা ছিল দৃষ্টিকটু। আর এই আউট নিয়ে পাকিস্তান কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘লিটন দাস অনেকদিন ধরে খেলছে। সে এখন আর তরুণ নয়। বুঝতে পারলাম, বলটা বাজে ছিল। ন্যাচারালি শটটা চলে এসেছে। তবে এটা ৫০ ওভারের ম্যাচ। ফাইন লেগ পেছনে থাকলে সিঙ্গেল নাও। এসব কি আমাদের বলতে হবে?’
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ভঙ্গুর দশা চলতি বিশ্বকাপে নতুন নয়। গত এশিয়া কাপ কিংবা ঘরের মাঠে হওয়া সর্বশেষ সিরিজগুলোতেও ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। এমন অধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে দলীয় ফলাফলও বেশ নেতিবাচক। সে কারণে পছন্দের ওয়ানডে ফরম্যাট ও হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে চলতি বছর বাংলাদেশের হারের পাল্লা-ই ভারী।
এসএইচ/এএইচএস