কতটা গুরুতর সাকিবের চোট?
সাকিব আল হাসানের চোটের কারণে বাংলাদেশের সমর্থকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। আরো বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এসে টাইগার অধিনায়ক ম্যাচ শেষ করতে পারেননি। এরইমাঝে গিয়েছেন হাসপাতালে। তিন ম্যাচ থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের জন্য সাকিব বড় ভরসার নাম। এমন অবস্থায় অধিনায়ক না থাকা দলের জন্য বড় সমস্যা। অনাকাঙ্ক্ষিত সেই সমস্যার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ দল। যদিও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি সাকিবের চোট কতটা গুরুতর, বা আদৌ কিছু হয়েছে কিনা।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। ৩ উইকেট হারানোর পর সাকিব ব্যাটে আসেন। যদিও শুরুর দিকটা স্ট্রাগলই ছিল টাইগার অধিনায়কের। পরবর্তীতে সময়ের সাথে মানিয়েও নিচ্ছিলেন সব। তবে রাচিন রবীন্দ্রের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে বাঁ পাশের উরুতে চোট পান সাকিব।
তাৎক্ষণিক মাঠে খানিকটা সেবা শুশ্রূষা করেন টাইগার ফিজিও। পরবর্তীতে আবারো ব্যাট করেন অধিনায়ক, আউট হওয়ার আগে করেন ৪০ রান। এরপর বল হাতেও শেষ করেছেন ১০ ওভার নিজের কোটার। পরে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে সোজা গিয়েছিলেন হাসপাতালে।
আরও পড়ুন
যদিও হাসপাতালের রিপোর্টের তথ্য এখনো জানা যায়নি। ম্যাচ শেষে তাই সাকিব কথা বলতে আসেননি পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনেও। আর অধিনায়কের পরিবর্তে আসেন সহ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। এ সময় জানান, তিনি (সাকিব) হাসাপাতালে স্ক্যান করার উদ্দেশে গিয়েছেন। চোট কতটা গুরুতর তা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বুঝতে পারবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
ক্রীড়া জগতের খুবই সাধারণ এক ইনজুরি এই মাংসপেশির আঘাত। স্পোর্টস ইনজুরির ১০-৩০ শতাংশ এটি। সরাসরি আঘাতের জন্য অথবা অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য এমন হতে পারে। কখনোও কখনোও এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই এই রোগ থেকে সেরে ওঠা সম্ভব। তবে গুরুতর কিছু হলে সেক্ষেত্রে ২ সপ্তাহ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে সাকিবকে। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের বেশ কিছু ম্যাচ মিস করবেন টাইগার অধিনায়ক।
এসএইচ/জেএ