ম্যাচ হারের পর এক প্রশ্নে ‘বিরক্ত’ তাসকিন!
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেননি দলের পেসাররা? গত দুই-এক বছরে নির্ভরতার নাম ছিল এই পেসাররা। তবে ইংলিশদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা ছিলেন বিবর্ণ। শরিফুল চার উইকেট পেলেও তা ছিল ম্যাচের একেবারে শেষদিকে। ততক্ষণে বাংলাদেশের ক্ষতিসাধন করেই ফেলেছেন দাভিদ মালান, জো রুটরা। সেই ধাক্কা সামলে ফিরেও আসা হয়নি টাইগারদের।
তাহলে কি পেসাররা একটু এলোমেলো? প্রশ্নটা শুনে একটু যেন বিরক্তই হলেন তাসকিন বললেন, ‘দুই ম্যাচ দিয়ে দুই বছরের অর্জনকে (যদি) এলোমেলো মনে করেন তাহলে আমাদের ব্যর্থতা। সামনে ভালো করার চেষ্টা করবো। ভালো করতে পারিনি। সামনে করার চেষ্টা করবো। ’
এর আগে দলের হার নিয়ে এ পেসার বলেছেন, ‘হারলে তো একটু খারাপ লাগে। তুলনামূলক যা আশা ছিল তার চেয়ে বোলিংটা খারাপ হয়েছে। যদিও কন্ডিশন ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। তাও ভালো করা যেত।’
শেষদিকে ভালো করেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। নিয়েছেন তিন উইকেট এরপর দল থেকে কি শরিফুলকে কোনো শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তাসকিনের জবাব, ‘অভিনন্দন জানানো হয়। আসলে ম্যাচ হেরে গেলে কোনো বড় পারফরম্যান্সই হাইলাইট হয় না। যদি জিততাম…যেভাবে রান হয়েছে (শুরুতে) সেভাবে কিন্তু শেষ দশ ওভারে রান হয়নি। আমরা বিলো ৩০০ রাখতে পারতাম তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারত। ’
তাসকিন নিজেও জানেন নিজেদের ঘাটতির কথা। পরের ম্যাচ থেকে রান ৩০০ এর নিচে রাখার পরিকল্পনা শোনা গেল তার মুখে, ‘আমাদের যে কয়েকটা ম্যাচ দেখছি, প্রায় সব উইকেটগুলো তিনশ রান হবে। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি।’
২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। যে কারণে সেই দলের পেস অ্যাটাককে এগিয়ে রেখেছেন ইয়ন মরগান। তাসকিনের কাছে এগিয়ে বর্তমান দলটিই, ‘যদি ধারাবাহিকতা চিন্তা করেন তাহলে কিন্তু ওই গ্রুপের থেকে এই গ্রুপের সফলতার হার বেশি। রিয়েলিটি যদি চিন্তা করা হয়। উনারা কিন্তু ভালো ছিলেন। ওটার কন্ডিশন ভালো ছিল। পেস ফ্রেন্ডলি ছিল। এটা একটু ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। তাই আমাদের অ্যাডজাস্ট করতে হবে। ’
এসএইচ/জেএ