লাইভ৬ উইকেটের জয় বাংলাদেশের
৫ অক্টোবর পর্দা উঠেছে ভারত বিশ্বকাপের। তবে আজই প্রথম মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ধর্মশালায় আফগানিস্তানের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে এখন ব্যাট করছে টাইগাররা।
আফগানিস্তান- ১৫৬/১০ (৩৭.২ ওভার)
বাংলাদেশ- ১৫৮/৪ (৩৪.৪ ওভার)
আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনে দেশ ছাড়ার আগের দিন দল ঘোষণা, মাস দুয়েক আগে অধিনায়কত্বে পরিবর্তন, ওপেনিং জুটিতে মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো পরিবর্তন সবমিলিয়ে কিছুটা হলেও মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে মাঠ আর মাঠের বাইরের এসব বিতর্ক পারফরম্যান্স দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ভারত মিশনের শুরুটা রাঙাল সাকিব আল হাসানের দল।
ফিফটির পর ফিরলেন মিরাজ
দুই দফা জীবন পেয়ে ফিফটি হাঁকানো মিরাজ থামলেন অবশেষে। নাভিন উল হককে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু সেখানে দারুণভাবে ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন রহমত শাহ। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৭৩ বলে ৫৭ রান।
তবে আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করেই গেছেন তিনি। এশিয়া কাপে আফগানদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে ফিফটি। মেহেদী হাসান মিরাজের প্রিয় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে যেন আফগানিস্তান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
২৫তম ওভারের তৃতীয় বলটি গুগলি করেছিলেন মুজিব। লাইন মিস করেন মিরাজ। বল প্যাডে আঘাত হানলে আম্পায়ার আউট দেন। কিছুটা সময় নিয়ে আম্পায়ারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন মিরাজ। রিভিউয়ে দেখা যায় বল প্রথমে ব্যাটে লেগেছে এরপর প্যাডে। তাই সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার।
বাংলাদেশের ১০০, মিরাজের ফিফটি
দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছিলেন দুই ওপেনার। তবে তিনে নেমে দলের হাল ধরেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রেখেছেন তিনি। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৩তম ওভারে তিন অঙে পৌঁছেছে দল। মিরাজ তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিও। এই মাইলফলক ছুঁতে তিনি খরচ করেছেন ৫৮ বল।
জীবন পেলেন মিরাজ
ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সজোরে ব্যাট চালিয়েছিলেন মিরাজ। গ্যাপ পাননি, পয়েন্টে সরাসরি ক্যাচ যায় নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে। সেটি রাখতে পারেননি নাজিবুল্লাহ। ফলে ১৭ রানে জীবন পেলেন মিরাজ।
আবারও ব্যর্থ লিটন
সর্বশেষ দুই বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক লিটন। অথচ এই ওপেনারই গত কয়েক মাস ধরে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী। অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু মূল ম্যাচে এসে আবারও ব্যর্থ হলেন। তামিমের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না লিটনও। ফারুকিকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে আফ স্টাম্পের অনেক বাইরে থেকে বল টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ১৩ রান।
রান আউটে ফিরলেন তামিম
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দেখে-শুনে খেলছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস-তানজিদ তামিম। কিন্তু ৫ম ওভারেই ঘটল বিপত্তি! ফজল হক ফারুকির করা বল কাভারে ঠেলে রান নেওয়ার জন্য সামনের পায়ে একটু ঝুঁকেছিলেন লিটন। রান নেওয়ার চেষ্টা করেননি তিনি। তবে অন্য প্রান্ত থেকে তামিম ততক্ষণে দৌড়ে উইকেটের মাঝে চলে এসেছিলেন, লিটনের কল না শুনেই। নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন তানজিদ।
১৫৬ রানেই গুটিয়ে গেল আফগানিস্তান
নবম উইকেট পতনের পর আর মাত্র ৫ বল টিকল আফগানদের ইনিংস। ৩৮তম ওভারে শরীফুল ইসলামের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে নাভিন-উল-হক ডিপ মিড উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়েছেন। ফলে মাত্র ৩৭.২ ওভারেই থেমেছে রশিদ-শহিদীদের ইনিংস। বাংলাদেশের সামনে তাদের লক্ষ্য ১৫৭ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী মিরাজ। পেসার শরীফুল দুটি শিকার করেছেন।
মিরাজের তৃতীয় শিকার মুজিব
বলটিতে তেমন টার্ন পাননি মেহেদী মিরাজ। অনেকটা স্ট্রেইট ডেলিভারিতেই বোকা বনে গেছেন মুজিব-উর-রহমান (১ রান)। কোনো ইনসাইড এজ-ও হয়নি, বড় শট খেলতে গিয়ে আফগান স্পিন অলরাউন্ডার তার স্টাম্প হারালেন। ১৫৬ রানেই ৯ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
উইকেট পার্টিতে যোগ দিলেন শরিফুল
প্রথম স্পেলে সুবিধা করতে পারেননি শরিফুল ইসলাম। মাঝে স্পিনাররা ভালো করায় শরিফুলের শরণাপন্ন হননি সাকিব। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে উইকেটের দেখা পেলেন এই বাঁহাতি পেসারও। ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে বোল্ড করেছেন তিনি।
ফিরলেন রশিদও
মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ, তবে লোয়ার মিডল অর্ডারে পার্থক্য গড়ে দিলেন রশিদ, এমনটা অনেকবারই ঘটেছে আফগানিস্তান ক্রিকেটে। তবে আজ চিত্রটা ভিন্ন। ধর্মশালায় যখন ধুঁকছে দল, তখন বিপদ বাড়িয়ে ফিরলেন রশিদও। মিরাজের নিচু হওয়া বল স্টাম্পে ডেকে এনে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
নবির স্টাম্প ভাঙলেন তাসকিন, বিপদে আফগানিস্তান
টপ অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে ভালো শুরুই পেয়েছিল আফগানিস্তান। তবে মিডল অর্ডার ভেঙে গেল তাসের ঘরের মতোই। ১০ রানের ব্যবধানে ফিরেছিলেন-হাশমতউল্লাহ-গুরবাজ-নাজিবুল্লাহ। তাই মোহম্মদ নবির দায়িত্বটা বেড়ে গিয়েছিল। তার অভিজ্ঞতায় ভরস খুজছিল আফগানরা। তবে এবার ব্যর্থ হলেন তিনি। তাসকিনের ল্যান্থ বলে ইনসাইড এডজে লেগ স্টাম্প উপড়ে গেছে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ রান। আর ১৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে আফগানিস্তান।
নাজিবুল্লাহকে বোল্ড করে সাকিবের তিন
নাজিবুল্লাহ জাদরানকে থিতু হতে দিলেন না সাকিব। এই বাঁহাতি স্পিনারের সোজা বলে লাইন মিস করেছেন নাজিবুল্লাহ। খানিকটা নিচু হওয়া বলে টার্নের আশায় ব্যাট চালিয়ে ছিলেন এই ব্যাটার, আউটসাইড এডজে বল স্টাম্পে আঘাত হানে। ৫ রান করা নাজিবুল্লাহকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করলেন সাকিব।
তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
ইনিংস ওপেন করতে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। শুরুতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছেন। স্পিনার কিংবা পেসার সবার বিপক্ষেই সাবলীল ছিলেন তিনি। তবে ২৬তম ওভারে মুস্তাফিজে কাটা পড়লেন তিনি। এই বাঁহাতি পেসারকে ডাউন দ্য উইকেটে এগিয়ে এসে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে হাঁকাতে চেয়েছিলেন। তবে ব্যাটারের মুভমেন্ট বুঝে গতি কমিয়ে দেন মুস্তাফিজ। ফলে ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। ৪৭ রান করে গুরবাজ ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। আর তিন বলের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে আফগানিস্তান।
মিরাজের শিকার হাশমতউল্লাহ
উইকেটে এসে ধীর গতির শুরু করেছিলেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। তার এমন ব্যাটিংয়ের প্রভাব পড়েছিল দলের রান রেটের ওপরও। সেটা অধিনায়ক হয়তোবা বুঝতে পেরেছিলেন। তাইতো ২৫তম ওভারে মিরাজের ওপর আক্রমণ করতে গেলেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হলো না। উল্টো দলের বিপদ বাড়ালেন নিজের উইকেট হারিয়ে। ১৮ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
আফগানদের লাগাম টেনে ধরল বাংলাদেশ
শুরুর ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। পরের দশ ওভারে কিছুটা হলেও রানের লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে স্পিনাররা-সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ। ১১-২০ ওভারের মধ্যে আফগানিস্তান তুলেছে ৪৬ রান। বিপরীতে তারা হারিয়েছে রহমত শাহকে।
আবারও আঘাত হানলেন সাকিব
ধর্মশালার ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে রান তুলতে খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছে না ব্যাটারদের। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষেও রানের চাকা সচলই ছিল আফগানদের। তারপরও ষোলতম ওভারের প্রথম বলেই সাকিবকে বড় শট খেলতে গেলেন রহমত শাহ। আবারও অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল বল। সুইপের চেষ্টায় এবারও টপ-এজ হয়ে বল আকাশে, সিলি মিড অফে লিটন দাস ভুল করেননি। সাজঘরে ফেরার আগে রহমতে ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ১৮ রান।
চীনে বাংলাদেশের ব্রোঞ্জ জয়
ভারতে বিশ্বকাপ মিশন শুরুর দিনে চীনে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ের লড়াইয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখানে দিনের শুরুটা প্রায় দখল করে নিচ্ছিল বৃষ্টি। যার কারণে মাত্র ৫ ওভারে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৫ রানের। ব্রোঞ্জ জিততে বাংলাদেশের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে সে বাধা অনেকাংশ টপকে যান ইয়াসির আলী রাব্বি। এরপর শেষ বলে বাংলাদেশের ৪ রান প্রয়োজন ছিল। নতুন ব্যাটার রাকিবুল হাসান মিড উইকেটে চার হাঁকিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন।
৫৯ বলে আফগানিস্তানের প্রথম ফিফটি
শুরুটা দারুণ করলেও উইকেট হারানোর পর আফগানদের রান তুলার গতি কিছুটা কমেছে। তবে প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যেই প্রথম ফিফটির দেখা পেল তারা। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলেছে আফগানিস্তান।
ইব্রাহিমকে ফেরালেন সাকিব
পেসাররা সুবিধা করতে না পারায় ইনিংসের সপ্তম ওভারেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। নিজের হাতে বল তুলে নেন সাকিব। তবে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি হজম করেছেন। তবে পরের ওভারে এসে ঠিকই পাল্টা জবাব দিয়েছেন সাকিব। দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। এই বাঁহাতি স্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে এডজ হয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছেন ইব্রাহিম। ২২ রান করা এই ওপেনারকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হেনেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
নতুন বলের সুবিধা নিতে পারছে না বাংলাদেশ
ধর্মশালায় সকালে পেসাররা কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পান। সে হিসেবেই হয়তোবা টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ইনিংস শুরু করা তাসকিন প্রথম ওভারটায় বেশ আঁটসাঁট বোলিং করেছিলেন। তবে এরপর লাইন-ল্যান্থে খানিকটা ঘাটতি। অপর প্রান্তে শরিফুল ইসলামও নতুন বলের বাড়তি সুবিধা নিতে পারছেন না। ফলে ভালো শুরুই পেয়েছে আফগানিস্তান। ৫ ওভার শেষে বিনা উইকেটে তারা স্কোরবোর্ডে তুলেছে ২৭ রান।
তিন পেসার নিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ভারত মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশিত একাদশই গড়েছে বাংলাদেশ। দলে আছেন তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার। সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজের মতো অলরাউন্ডার একাদশে থাকায় ব্যাটিংয়ে লাইনআপও বেশ লম্বা হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ : রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান, নাভিন-উল-হক ও ফজলহক ফারুকি।
এইচজেএস