২০ বছর পর বাবার রেকর্ড ছুঁলেন ডি লিড
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের যাত্রাটা গত (শুক্রবার) রাতে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে শুরু হয়েছে। বড় জয় পেলেও ম্যাচটাও মোটেও সহজ ছিল না বাবর আজমদের জন্য। এদিন ম্যাচের নায়ক বনে যেতে পারতেন ডাচ অলরাউন্ডার ডি লিড, তবে কাগজে-কলমে সেটি না হলেও তিনি তো নায়কই। বল হাতে চার উইকেটের পর ব্যাট হাতেও ৬৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন। এরই মাঝে ২০ বছর আগে বাবার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন এই ডাচ ক্রিকেটার।
বৈশ্বিক আসরে ডাচদের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ডি লিড। যেখানে তার আগেই বসেছেন বাবা টিম ডি লিডসহ আরও তিন বোলার। তবে ছেলে বাস ডি লিডের সামনে সেটি টপকে বিশ্বকাপের এক ইনিংসে সেরা ডাচ বোলার বনে যাওয়ার সুযোগ ছিল। যদিও তা হয়নি শেষ পর্যন্ত, তবে বাবাকে ছাড়িয়ে না যাওয়ার—ও হয়তো একটা ভালো লাগা কাজ করবে ২৩ বছর বয়সী এই পেসারের!
আরও পড়ুন
হায়দরাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ স্পেল করতে এসেই বাস ডি লিড দুটি উইকেট করে উইকেট নিয়েছেন। ৩২তম ওভারে বল হাতে নিয়ে তিনি ফেরান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোহাম্মদ ইফতিখারকে। পরে ৪৩তম ওভারে পরপর দুই বলে তার শিকার শাদাব খান ও হাসান আলি। ইয়র্কার লেংথের হ্যাটট্রিক বল ঠেকিয়ে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরের দুই ওভারে আর কোনো সাফল্য পাননি ডি লিড।
— ICC (@ICC) July 7, 2023
৯ ওভারে ৬২ রান খরচ করে তার শিকার চারটি। ২০০৩ বিশ্বকাপ আসরে ভারতের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৪টি শিকার ধরেছিলেন তার বাবা টিম ডি লিড। ভারতের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও। যে চার উইকেটের মধ্যে একটি ছিল শচীন টেন্ডুলকারের, আরেকটি ভারতের বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের।
বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ উইকেটশূন্য থাকার পর সেদিনই প্রথম সাফল্য পেয়েছিলেন টিম। যা এখনও বৈশ্বিক আসরে ডাচদের রেকর্ড। ওই একই আসরে নামিবিয়ার বিপক্ষে সমান ৪২ রানে ৪টি করে উইকেট নেন দেশটির আরও দুই বোলার ফেইকো ক্লোপেনবার্গ ও আদিল রাজা।
ডি লিডের বাবা টিম ডি লিড নেদারল্যান্ডসের হয়ে ১৯৯৬, ১৯৯৯ এবং ২০০৭ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। মোট ২৯ ওডিআইতে তার শিকার ২৯টি। ছেলে বাস ডি লিড এখন পর্যন্ত ৩১ ম্যাচে ২৮ উইকেট পেয়েছেন। তবে ব্যাট হাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত, যেখানে তিনি করেছেন ৮২৪ রান।
এএইচএস