বিশ্বকাপে যে বিরল রেকর্ড শুধুই সাকিবের
ধারাবাহিকতার এক অনন্য নিদর্শন বলা যেতে পারে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। ২০০৭ সাল থেকে দেশের ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্যের সবটুকু নিঙড়ে দিয়েছেন টাইগারদের বর্তমান অধিনায়ক। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফর্ম করতে পারেন সাকিব। বিশ্বক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারের খেতাবটাও লেগে আছে তার নামের পাশে।
তবে এই রেকর্ডের মধ্যেও সাকিব যেন অনন্য। এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগেও আছেন ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে গতকাল সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তাতে বরাবরের মতো ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করছেন সাকিব। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের রেটিং পয়েন্ট ৩৪৯।
আর এতেই বিশ্বকাপের বিরল এক রেকর্ডে নিজের নামটা আরও পোক্ত করেছেন সাকিব। ২০১১, ২০১৫ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আরও একটি বিশ্বকাপ সেরা অলরাউন্ডার হিসেবেই শুরু করছেন বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার। অথচ এই কীর্তিতে অজি গ্রেট গ্রেগ চ্যাপেল ছাড়া দ্বিতীয়বারও নেই কারো নাম। ১৯৭৫ এবং ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন চ্যাপেল।
মাঝে ১৯৭৯ বিশ্বকাপে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিস ওল্ড। ৮৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস, ৯২ বিশ্বকাপে ভারতের কপিল দেব ছিলেন সেরা অলরাউন্ডার।
৯৬ থেকে পরের চার বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রাই ছিলেন সেরা অলরাউন্ডারের তালিকায়। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের আগে হ্যান্সি ক্রনিয়ে, ৯৯ বিশ্বকাপে ল্যান্স ক্লুজনার, ২০০৩ বিশ্বকাপের আগে জ্যাক ক্যালিস এবং ২০০৭ বিশ্বকাপের আগে শন পোলক ছিলেন র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার।
আর ২০১১ সালের পর থেকে বিশ্বকাপের সব আসরেই র্যাঙ্কিংসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। টানা আসরে সেরা অলরাউন্ডারের শুরুর রেকর্ডটা অবশ্য ২০১৫ সালেই নিজের করে নিয়েছিলেন টাইগার দলপতি।
জেএ