বিশ্বকাপের মাঠ: সাগরপাড়ের চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম
বিশ্বক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট আইসিসি মেন’স ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে ক্রিকেটের বর্ণাঢ্য আয়োজন। একদিনের ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টের জন্য প্রস্তুত ভারত। প্রস্তুত অংশগ্রহণকারী ১০ দেশের ১৫০ ক্রিকেটার এবং শতাধিক কোচিং-স্টাফরা। সেই সঙ্গে প্রস্তুত বিশ্বকাপের ১০ ভেন্যু। বাংলা থেকে মুম্বাই, ধর্মশালা থেকে ব্যাঙ্গালোর, ভারতের সঙ্গে ক্রিকেটের রঙ্গমঞ্চে বুঁদ থাকবে সবাই।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ ঘিরে ঢাকাপোস্টের বিশেষ আয়োজন ‘বিশ্বকাপের মাঠ’। যেখানে থাকবে সব ভেন্যুর খুঁটিনাটি। ৫ম পর্বে থাকছে চেন্নাইয়ের চিদাম্বারম স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলবে গ্রুপপর্বের এক ম্যাচ। যেখানে তাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে তাসমান সাগরপাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ড।
চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম
চেন্নাইয়ে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৫০ হাজার। বঙ্গোপসাগরের ধারেই এই স্টেডিয়াম। এখানেই আছে পর্যটনকেন্দ্র মেরিনা বিচ। পর্যটন আর ক্রিকেট দুয়ের মেলবন্ধন এই স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা। চেন্নাইয়ের এই মাঠেই সাঈদ আনোয়ার খেলেছিলেন তার ১৯৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসটি।
৩৮ হাজার ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলবে একটি ম্যাচ। টানা দুই আসরের রানারআপ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হবে তাদের সেই ম্যাচ।
কত ম্যাচ হবে এখানে?
বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি হাইভোল্টেজ ম্যাচের আয়োজক হচ্ছে এম এ চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই মাঠের ম্যাচ দিয়েই নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ভারত। এরপর নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ (১৩
অক্টোবর) নিউজিল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান (১৮ অক্টোবর), পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান (২৩ অক্টোবর), পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (২৭ অক্টোবর) ম্যাচগুলো হবে এখানে।
পিচের আচরণ
স্পিন নির্ভর ভারতের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছিল এই স্টেডিয়াম। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত তাই এই পিচ বোলিং নির্ভর হিসেবেই বেশি পরিচিতি পেয়েছে। এখনো এই মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই স্পিনার। বিশ্বকাপে এশিয়ান দেশগুলো তাই এখান থেকে বাড়তি সুবিধাই পাবে।
ধারণা করা হচ্ছে, লো স্কোরিং একটি ম্যাচ হবে এই মাঠে। ২৬০ এর বেশি যেকোন স্কোরেই নিরাপদ বোধ করতে পারে দলগুলো। এ স্টেডিয়ামে ৩৪টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে ব্যাটিং করা দল ১৭ টি, প্রথমে বোলিং করা দল ১৬ টি ম্যাচ জয় পেয়েছে।
স্কোরিং প্যাটার্ন
চেন্নাইয়ের এই মাঠে এখন পর্যন্ত ৩ বার ৩০০ এর বেশি রান হয়েছে। এরমাঝে চারবারই ছিল এশিয়া একাদশ কিংবা আফ্রিকা একাদশের মাঝে। জাতীয় দলের হিসেবে এই মাঠে ৩০০ এর বেশি স্কোর করার কৃতিত্ব কেবল পাকিস্তানের। সাঈদ আনোয়ারের ১৯৪ করার সেই ম্যাচে ৩২৭ রান করেছিল তারা।
এর বাইরে ২৫০ থেকে ২৯৯ এর মাঝে ইনিংস থেমেছে ১৪ বার। ২০০ থেকে ২৪৯ এর মধ্যে স্কোর হয়েছে ১২ বার। গড় হিসেবে প্রথম ইনিংসে স্কোর হয়েছে ২২৪। ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৫ এর বেশি গড়ে।
বাংলাদেশের অতীত
একবারই চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে নামা হয়েছিল বাংলাদেশের। ১৯৯৮ সালের সেই ম্যাচে কেনিয়াকে ২৮ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
জেএ