উদ্বোধনী ও ফাইনালসহ ৫ ম্যাচের ভেন্যু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম
আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। আগামী ৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে পর্দা উঠছে বিশ্ব ক্রিকেটের বড় আসর আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের। এবারের আসরে ১০ টি দল অংশগ্রহণ করবে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আসরের ১৩ তম সংস্করণের উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হবে গেলবারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।
ভারতের ১০টি স্টেডিয়ামে এ আসরের সবগুলো খেলা অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণে চেন্নাই থেকে উত্তরে ধর্মশালা, পূর্বে কলকাতা, পশ্চিমে আহমেদাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে স্টেডিয়ামগুলো।
কেমন আচরণ করবে বিশ্বকাপের মাঠের পিচগুলো। ব্যাটার নাকি বোলার? কারা সুবিধা নেবে পিচ থেকে? এসব খুঁটিনাটি জানাতেই বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ঢাকা পোস্টের বিশেষ আয়োজন বিশ্বকাপের মাঠ। প্রথম পর্বে থাকছে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনালসহ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর ভেন্যু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
আরও পড়ুন
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। ১৯৮৩ সালে স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৩২ হাজার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে এটির বর্তমান নামকরণ করার আগে, এটি পূর্বে মোতেরা স্টেডিয়াম বা ভারতের অন্যতম বিখ্যাত স্বাধীনতা নেতা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নামানুসারে ডাকা হত। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্টেডিয়ামগুলোর একটি।
বিশ্বকাপের কতটি ম্যাচ হবে এখানে?
এ মাঠে উদ্বোধন ও ফাইনালসহ ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৪ অক্টোবর ভারত বনাম পাকিস্তান, ৪ নভেম্বর ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আফগানিস্তান এবং ১৯ নভেম্বর ফাইনাল এ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২ সালে এ মাঠেই গুজরাট টাইটান্স এবং রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যে আইপিএল ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে লাখেরও বেশি দর্শক উপস্থিতি ছিল, একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি।
২০২০ সালে এ স্টেডিয়ামটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ ইভেন্টসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক ইভেন্ট এবং সমাবেশের আয়োজন করেছে। ১৯৮৩ সালের ১২ নভেম্বর এই মাঠে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়।
পিচের আচরণ:
এটি স্লো উইকেট। বোলার বান্ধব পিচ। এ পিচে পেসাররা গতির পাশাপাশি অতিরিক্ত বাউন্স পাবে। পেসার ও স্পিনার উভয়ই এ পিচে সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে। সেইসঙ্গে অক্টোবর মাসে যদি শিশির থাকে, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা আরও বেশি কষ্টকর হয়ে উঠবে। তবে উইকেটে টিকে থাকতে পারলে ব্যাটাররা ইনিংসের শেষ দিকে বড় স্কোর করতে পারেন। এ মাঠে ২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে ব্যাটিং করা দল ১৬টি, পরে বোলিং করা দল ১২টি ম্যাচ জয় পেয়েছে।
স্কোরিং প্যাটার্ন
স্কোরিং প্যাটার্ন অনুযায়ী, এখানে মাত্র ৬ বার ৩০০ এর বেশি স্কোর হয়েছে। ২০০ থেকে ২৫০ এর মাঝে স্কোর হয়েছে ১৫ বার। আর ২৫০ থেকে ৩০০ এর মাঝে স্কোর হয়েছে ১৪ বার। যেকোন দল তাই ২৭৫ এর উর্ধ্বে রান জমা করতে পারলেই এই পিচে নিজেদের নিরাপদ বোধ করতেই পারে।
তবে রান তুলতে ব্যাটারদের যেমন সংগ্রাম করতে হয়েছে। তেমনি উইকেট পেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে বোলারদেরও। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ওভারপ্রতি ৪ দশমিক ৯৫ রান তুলেছেন ব্যাটাররা। আর উইকেট পেতে বোলাররা খরচ করেছেন ৩১ এর বেশি রান। সুতরাং, ম্যাচে ব্যাটে-বলের লড়াইটা সমানে সমান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু/এফআই/জেএ