সাকিব-তামিমকে তীব্র ভর্ৎসনা হার্শা ভোগলের
দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সরগরম বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। তামিমের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি ক্রিকেটভক্তদের বড় একটি অংশ মেনে নিতে পারেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এজন্য তার পুরোপুরি সেরে না ওঠার যুক্তি দেখিয়েছে। তবে তামিমের মতে, তাকে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে বলায়-ই দল থেকে সরে গেছেন তিনি নিজেই। এরপর সাকিবও এক সাক্ষাৎকারে তামিমের ব্যাটিং পজিশন পাল্টে খেলতে না চাওয়ার মানসিকতাকে ‘বাচ্চামো বলে উল্লেখ করেছেন।
গতকাল বিকেলে বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে তাদের বিশ্বকাপের লক্ষ্য ও স্বপ্ন নিয়ে মেতে থাকার কথা, সেখানে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের বিবাদই বড় আলোচনার বিষয়। যা নিয়ে সাকিব-তামিমকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে।
আগে থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট কিংবা আরও বিশেষ করে বললে সাকিবের খেলা নিয়ে বেশ প্রশংসা ঝরে ভোগলের কণ্ঠে। তবে এবার দুই ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি আর আগের মনোভাব দেখাননি। দুজনকে তিরস্কার করে ভোগলে সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দল, যারা সব সময়ই আবেগতাড়িত। বড় টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ) আগে তাদের দুই খেলোয়াড় যেভাবে প্রকাশ্য-ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছে, আমি মনে করি সেটা আদর্শ কিছু নয়।’
— Harsha Bhogle (@bhogleharsha) September 28, 2023
এর আগে বুধবার বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল দেশ ছাড়ার পর এরপর এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, ‘বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললেন, ‘‘তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না।’’ আমি বলেছি, এখনও ১২/১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকব। তাহলে কী কারণে খেলব না? তখন তিনি বললেন, ‘‘আচ্ছা, তুমি যদি খেলো তাহলে আমরা পরিকল্পনা করছি, তুমি নিচের দিকে খেলবা।’’
আরও পড়ুন
‘স্বাভাবিকভাবে বুঝতে হবে আমি কোন মানসিক অবস্থা থেকে এসেছি। আমাকে যদি হুট করে এ ধরনের কথা বলা হয়। আমার পক্ষে নেওয়া আসলে সম্ভব নয়। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাট করেছি। আমি জীবনে কোনোদিন তিন-চারে ব্যাটিং করিনি। আমি যদি আগে কখনো তিন-চারে ব্যাট করতাম তাহলে মানিয়ে নেওয়ার মতো ছিল। আমার এরকম কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমি এটা ভালোভাবে নিইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এটা পছন্দ করিনি। আমি মনে করেছি, আমাকে জোর করে করে বাধা দেওয়া হয়েছে’, যোগ করেন তামিম।
এরপর রাতে একটি বেসরকারি চ্যানেলের কাছে দেওয়া সাকিবের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। সেখানে সাকিব বলেন, ‘রোহিত শর্মার মতো প্লেয়ার ৭ নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে এসে ১০ হাজার রান করে ফেলেছে। তো ও (তামিম) যদি দলের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে ৩-৪ এ খেলে বা ব্যাটিংয়ে নামে তাহলে কি খুব প্রবলেম হয়? এটা আসলে আমার মনে হয় অনেকটা বাচ্চা মানুষের মতো, যে আমার ব্যাট আমিই খেলবো আর কেউ খেলতে পারবে না। টিমের প্রয়োজনে যেকেউ যেকোনো জায়গায় খেলতে রাজি থাকা উচিত। টিম ফার্স্ট।’
এএইচএস