চলে এলো বিশ্বকাপের থিম সং ‘দিল জশন বলে’ (ভিডিও)
ভারতের মাটিতে মাত্র সপ্তাহ দুয়েক পরই পর্দা উঠছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের। আজ (বুধবার) আসন্ন মেগা আসরের থিম সং মুক্তি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ভারতের পাঁচ শিল্পীর কণ্ঠে বেজে উঠেছে ‘দিল জশন বলে’, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘হৃদয় উদযাপন করে’। হিন্দী ভাষায় গাওয়া গানটির মিউজিক ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন বলিউড তারকা রণবীর সিং।
৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের গানটির সুর করেছেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক প্রীতম চক্রবর্তী। গতকাল (মঙ্গলবার) গানের পোস্টার টুইটারে শেয়ার করে আইসিসি জানিয়েছির, বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টায় মুক্তি পাবে গানটি।
গানটিতে একটি ট্রেনের আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে যাত্রীদের সঙ্গে বিশ্বকাপের উত্তাপ ছড়ানো গানে মাতেন বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং ও গানের সুরকার প্রীতম। রণবীরের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে ভারতীয় স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মাকেও। চাহাল বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পেলেও, তার স্ত্রী ছিলেন থিম সং’টির বড় একটি অংশজুড়ে।
আরও পড়ুন >> বিশ্বকাপে যাদের সেমিফাইনালে দেখছেন গিলক্রিস্ট
— ICC (@ICC) September 20, 2023
গানটি লিখেছেন শ্লোক লাল এবং সাবেরী ভার্মা। গানটি গেয়েছেন প্রীতম, নাকাস আজিজ, শ্রীরামা চন্দ্র, আকাশ মিশ্র, জোনিতা গান্ধী, আকসা ও চরণ। এ নিয়ে সংগীত শিল্পী প্রীতম জানিয়েছেন, ‘ক্রিকেট ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ আবেগ এবং সর্বকালের সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপের জন্য ‘‘দিল জশন বলে’’ রচনা করা আমার জন্য একটি অসাধারণ সম্মানের বিষয়। এই গানটি শুধুমাত্র ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য।’
আরও পড়ুন >> ভারতে দর্শকশূন্য মাঠে খেলবে পাকিস্তান
আগামী ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের। যেখানে সব মিলিয়ে ভারতের ১০টি মাঠে হবে বিশ্বকাপের ৪৮টি ম্যাচ। এর মধ্যে অধিকাংশ ম্যাচই হবে দিবারাত্রীর। শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়। বাকি ৬টি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায়।
আইসিসির ওয়েবসাইট এবং সামাজিক মাধ্যমের পেজগুলোতে অফিসিয়াল এই সংগীতটি প্রকাশ করা হয়েছে। ৫ অক্টোবর বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হলেও, ৪ অক্টোবর হবে বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে অধিনায়কদের ফটোসেশন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ অধিনায়ককে নিয়েও আছে বিশেষ আয়োজন। এর আগে ২০১১ আসরের ‘থিম সং’ তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল, যার শিরোনাম ছিল ‘দে ঘুমাকে’।
এএইচএস