তানজিমকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর মিরাজের পেজ গেল কই!
তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে একটি পোস্ট করেছিলেন সতীর্থ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে পোস্টটি। তবে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সেই স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার। এরপর থেকে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে মিরাজের অফিসিয়াল পেজটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেসবুকে সার্চ দিয়ে মিরাজের পেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। টাইগার এই অলরাউন্ডারের ভেরিফায়েড পেজটি হ্যাক হয়েছে নাকি সাময়িক সময়ের জন্য আনপাবলিশড করে রাখা হয়েছে নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে মিরাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, তানজিম সাকিবের সমর্থনে দেওয়া পোস্ট ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে নানামুখী প্রতিক্রিয়ার মুখে পেজটি আনপাবলিশড করে রাখা হয়েছে।
ডিলিট করা পোস্টটিতে মেহেদী মিরাজ লিখেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত, তুমি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশে কিছু বলোনি। হয়ত তোমার উপস্থাপনাটা ভুলভাবে হয়ে গেছে এবং তুমি তা বুঝেছো। বাংলাদেশের সংবিধান ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সবাইকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে, ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতাও দিয়েছে। তেমনই ইসলামে নারীকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দেওয়া হয়েছে। কন্যা-সন্তানকে সবচেয়ে বড় এক নিয়ামত বলা হয়েছে, মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত বলা হয়েছে ও স্ত্রীকে সবচেয়ে বড় প্রশান্তির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফলে নারী বিদ্বেষের কথা তো এখানে আসেই না।
সামনে তোমার এক দারুণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে তোমার। শুভকামনা রইলো, তানজিম হাসান সাকিব, আল্লাহ তোমার সহায় হোক। সরল সত্যের পথে অটুট থাকো।’
এর আগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য ক্ষমা চান জাতীয় দলের পেসার তানজিম সাকিব। মঙ্গলবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি জানান, ‘সে (তানজিম) যেসব পোস্ট দিয়েছে সেগুলো কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। তারপরও কারও যদি আঘাত লেগে থাকে সে জন্য সে দুঃখিত।’ সামনের দিনগুলোতে এই পেসারকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও জানান বিসিবির এই কর্মকর্তা।
এফআই