মাজিয়ার বিপক্ষে উড়ে গেল বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কাপে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচজুড়ে বল দখল ও আক্রমণে কিংস এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। বিপরীতে কম আক্রমণ নিয়েও তিনবার সফল লক্ষ্যভেদ করে বড় জয় তুলে নিয়েছে মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব। কিংসকে তারা ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) মালেতে ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস স্বাগতিক ক্লাবটির মুখোমুখি হয়। এর আগে মাজিয়ার বিপক্ষেই কিংসের শতভাগ জয়ের রেকর্ড ছিল। এএফসি কাপেই মাজিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতেছিল তারা। কিন্তু এবার আর সেই রেকর্ড ধরে রাখতে পারেনি কিংস।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে দোরিয়েল্তন গোমেজ বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নিলেও তা পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। অথচ পাশে ফাঁকায় ছিলেন শেখ মোরসালিন। পরের মিনিটে তারিক কাজীর ভুলে পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা। তার ভুল পাস পেয়ে বজিলাভ বালবানোভিচ ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে মাজিয়াকে লিড এনে দেন। কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও সেটি ঠেকাতে সক্ষম হননি।
এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠেন কিংস ফুটবলাররা। ৩৮ মিনিটে রাকিবের ক্রসে বিশ্বনাথ ঘোষের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে চলে যায়। ফলে প্রথমার্ধে তাদের আর সমতায় ফেরা হয়নি। ১-০ লিড নিয়ে মাজিয়া বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের চেষ্টা চালাতে থাকে কিংস। ৫৬ মিনিটে দোরিয়েলতনের ক্রসে পাওয়া বল রাকিব হেড দিলেও গোলরক্ষকের হাতে আটকে যায়। এরপর ৬৮ মিনিটে ফ্রি-কিকের সুবাদে আরেকটি গোল করে মাজিয়া। ফ্রি-কিক শট থেকে বল ঘুরে আসে বদলি হাসান নাজিমের পায়ে। তিনি বক্সের একটু বাইরে থেকে দারুণ এক শটে জিকোকে পরাস্ত করেন।
যোগ করা সময়ে সেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন মাজিয়া ফুটবলার আলি ফাসির। এরপর শেষ মিনিটে সান্ত্বনার গোল পায় কিংসও। দোরিয়েলতনের অ্যাসিস্টে মোহাম্মদ ইব্রাহিম হেড থেকে ওই গোলটি করেন। যা কেবল অস্কার ব্রুজনের দলের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়নরা এএফসি কাপের পরবর্তী ম্যাচে আগামী ২ অক্টোবর খেলবে ওডিষা এফসির বিপক্ষে।
এএইচএস