যে রেকর্ড চাননি সাকিব
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় চলমান এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ওঠা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশ ভালোভাবেই সেই ধাপ পার করে। তবে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দল ব্যাটিং বিপর্যয়ের নজির গড়ে। সাকিব-মুশফিক ছাড়া আর কোনো ব্যাটার রান না পাওয়ায় পাকিস্তানের জয় সহজ হয়ে যায়। সেজন্য বাকি দুই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে সাকিবদের। তবে আরও একটি ভাবনার বিষয় সামনে এসেছে টাইগার অধিনায়কের জন্য। টানা তিন ম্যাচে তিনি কোনো উইকেট পাননি।
এর আগে টানা তিন ওয়ানডেতে সাকিব উইকেটশূন্য ছিলেন ২০১৮ সালে। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে চলমান এশিয়া কাপে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ওয়ানডেতে সাকিব উইকেটের দেখা পাননি। এরপর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও উইকেটশূন্য ছিলেন এই টাইগার অধিনায়ক।
এশিয়ান দেশগুলোর শ্রেষ্ঠত্বের এই আসর শুরুর আগে সাকিবের জন্য বড় চিন্তার বিষয় ছিল সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে না পারা। তবে আসর শুরু হতেই ব্যাট হাতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার রানে ফিরলেও, নতুন করে বোলিং ভাবাচ্ছে তাকে।
আরও পড়ুন >> ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকলে সাকিবই এগিয়ে আসেন’
ফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে থাকার লক্ষ্যে আজ (শনিবার) শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করা লঙ্কানদের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য সাকিব। আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও সাফল্য পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আরও পড়ুন >> মাঠে নামার আগেই সুখবর সাকিবের
সুপার ফোরে ওঠার লক্ষ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হতো টাইগারদের। প্রায় সাড়ে তিনশ ছোঁয়া রানের সংগ্রহ দিয়ে সেই কাজ সহজ করে দিয়েছিলেন ব্যাটাররা। নাজমুল শান্ত ও মেহেদী মিরাজের সেঞ্চুরির পাশাপাশি শেষদিকে ৩২ রানের (১৮ বল) দারুণ ক্যামিও ইনিংস খেলেন সাকিব। এরপর আফগান ব্যাটারদের তাসকিন-শরীফুলরা চাপে রাখলেও সাকিব ছিলেন বিপরীত। যদিও ৫.৫০ ইকোনমিতে তিনি রান দিয়েছিলেন। তবে ৮ ওভারে ৪৪ রানে সাকিব ছিলেন উইকেটশূন্য।
এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরের ব্যাটিং পিচে নেমেও চোখে শর্ষেফুল দেখেন টাইগার ব্যাটাররা। ১৯৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় বাবর আজমদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। অন্যদিকে সেই রানে ডিফেন্ড করাটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশি বোলারদের জন্য। তাসকিন-শরীফুল-মিরাজ একটি করে উইকেট নিয়ে কিছুটা চাপ তৈরির চেষ্টা চালান। তবে সাকিব ৫.৩ ওভারে ৩১ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য। পরে বাংলাদেশও ম্যাচটি হেরে যায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
এএইচএস