আলোচনায় মেসির বডিগার্ড
লিওনেল মেসি মানেই যেন খবরের শিরোনাম। ইউরোপ পর্ব শেষ করে এই ফুটবলার এখন আছেন মার্কিন মুল্লুকে। ৩৬ বছর বয়সে সেখানেও এখন নিজের পায়ের জাদু দেখাচ্ছেন তিনি। মাঠের খেলার কারণে খবরের পাতায় নিয়মিতই আসছে মেসির নাম। তবে, এবার মেসি নিজে নয়, আলোচনায় উঠে এসেছেন অন্য একজন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছেন মেসির ব্যক্তিগত বডিগার্ডের তথ্য। বিশ্বসেরা এই ফুটবলারের জন্য আলাদা এই দেহরক্ষীকে নিয়োগ দিয়েছে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামি। খেলার মাঠের সাইডলাইনে আর বাইরের জীবনে খানিক দূরত্ব রেখে মেসিকে দেখে রাখেন এই বডিগার্ড। যার নাম ইয়াসিন।
ইয়াসিন নামক সেই নিরাপত্তাকর্মী একজন প্রফেশনাল মুইথাই ফাইটার। ইয়াসিনকে ইনস্টাগ্রামে ফলোও করেন মেসি নিজে। শুধু মুইথাই নয়, মিক্স মার্শালআর্টে রয়েছে ইয়াসিনের সমান দক্ষতা। প্রফেশনাল বক্সার হিসেবেও সুনাম আছে তার।
— MC (@CrewsMat10) August 24, 2023
মেসি আসার আগেই আলোচনার বিষয় ছিল, এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামি মেসিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে কিনা। মেসির জন্য মায়ামি এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়, এমন কথা শোনা গিয়েছিল বেশ আগে থেকেই। এমনকি গণমাধ্যমের কাছে এমন কথা বলে চুক্তিও হারিয়েছেন মায়ামির সাবেক গোলরক্ষক নিক মার্সম্যান। তার নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছিলেন লিগের বিভিন্ন দলের কোচরাও।
এরপরেও অবশ্য থামেনি মেসির এমএলএস যাত্রা। আর এক অর্থে সেখানে সুসময় কাটছে তার। ৮ ম্যাচে ১০ গোল আর তিন অ্যাসিস্ট। সঙ্গে আছে এক শিরোপা। আগে থেকেই মেসির জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। সাম্প্রতিক ফর্ম সেই জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: মেসিদের ম্যাচ ‘স্ক্রিপ্টেড’, যা বলছেন বেকহাম
এমন অবস্থায় অনেকেই চান মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে বা অটোগ্রাফ নিতে। মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে এসব পরিস্থিতিতে নিয়মিত পড়তে হচ্ছে মেসিকে। এরকম সময়ে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই মূলত বডিগার্ড ইয়াসিনকে নিয়োগ দিয়েছে ইন্টার মায়ামি।
অনুশীলন মাঠ কিংবা ড্রেসিংরুম, সবসময় লিওর পাশেই থাকেন এই নিরাপত্তাকর্মী। মাঠে প্রবেশ এবং মাঠ ছাড়ার সময়ও চোখের আড়াল হতে দেন না তিনি। খেলা চলাকালীন মাঠের সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করেন নিরাপত্তা। মাঠে কোনো দর্শক মেসির সান্নিধ্যে যেতে হলে তাকে প্রথমে ডিঙাতে হবে সেই নিরাপত্তাকর্মীর বাধা।
শুধু মাঠ নয়, মেসির ব্যাক্তিগত জীবনেও দেখা গিয়েছে এই বডিগার্ডকে। ফ্লোরিডার রাস্তা ও শপিংমল যেখানেই মেসি পরিবার নিয়ে যান তাকে চোখে চোখে রাখেন ইয়াসিন।
জেএ