প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দেশের ক্রিকেটে বড় পরিবর্তন
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে ব্যবহৃত হয়েছে জিপিএস প্রযুক্তি। ফিটনেস উন্নয়নে দেশের ক্রিকেটারদের এই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোড নেওয়ার ক্ষমতা এবং তাদের ফিটনেস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য স্বয়ংক্রিয় উপায়ে পেয়ে যান ট্রেনাররা। এভাবে প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে টাইগার ক্রিকেট।
জিপিএস সিস্টেমের ব্যাপক বদলের কথা জানালেন জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি, ‘আমরা ক্যাটাপল্ট জিপিএস সিষ্টেম লাগিয়েছি। আমাদের জন্য এর প্রধান সুবিধা হচ্ছে, খেলোয়াড়রা আসলে কি করছে এখন আমরা সেই তথ্য পেয়ে যাচ্ছি। যেহেতু আমাদের খুব অভিজ্ঞ কোচদের গ্রুপ আছে (এটি তাদের জন্য সুবিধার)।’
‘আগেও লম্বা সময় ধরেই রানিং করত সবাই, কিন্তু তথ্যের দিক থেকে আমরা কিছুটা অন্ধকারে থাকতাম। এখন খেলোয়াড়রা কী করছে, কতটা দূরত্ব দৌড়াচ্ছে, কতটা গতি ও তীব্রতা নিয়ে দৌড়াচ্ছে এসব বুঝতে পারি। আমাদের কাছে হার্টরেট আসে। এতে করে নির্দিষ্ট দিনে একজন খেলোয়াড় কতটা ভার বহন করল তা বোঝা যায়। এটা আমাকে, ফিজিওকে বা মেডিকেল দলের যে কাউকেই ওই খেলোয়াড় সম্পর্কে কোচদের কাছে মতামত দিতে সাহায্য করে। কোন খেলোয়াড়ের কতখানি ফিটনেস দরকার, এসব বুঝে সেভাবে অনুশীলন পরিকল্পনা করা যায়’, যোগ করেন নিক লি।
বোলিংয়ে কৌশলগত বদল আনার ক্ষেত্রেও জিপিএস কোচদের জন্য সহায়ক বলে মনে করেন এই ট্রেনার, ‘ক্যাটাপল্ট সিষ্টেমের আরেকটি সুবিধা হলো পেস বোলিং অ্যালগরিদম। যখন একজন বোলার বল করে এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়; যেমন রানআপ দূরত্ব, রানআপের গতি, ক্রিজের লোড। কোচরা বুঝতে পারে কী ঘটছে। এরপরে তারা যদি মনে করে কোন বদল আনা দরকার, তারা সেটা করতে পারে। মূলত আমরা কি করছি তার সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।’
এসএইচ/এএইচএস