১০ জন নিয়ে ম্যাচ খেলল মরিনিয়োর দল
‘স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত জোসে মরিনিয়োর বর্ণাঢ্য কোচিং ক্যারিয়ার। তবে আলোচনা তৈরি করাই যেন তার বড় দায়িত্ব! ম্যাচে একজন ফুটবলার কম খেলানোয় এবারও নতুন করে তিনি আলোচনায় এসেছেন। ইচ্ছা করেই এমন কাণ্ড ঘটানোর কথা জানিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমার বর্তমান এই কোচ। যদিও ম্যাচটিতে রোমা আলবেনিয়ান ক্লাব পার্টিজানি তিরানাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে।
মূল মৌসুম শুরুর আগে এএস রোমা তাদের শেষ প্রীতি ম্যাচ নেমেছিল। ম্যাচের ফল অতটা গুরুত্বপূর্ণ না হওয়ায় সাধারণত এই ধরনের খেলায় দলের কম্বিনেশন সেট করা ও ফুটবলারদের ছন্দে ফেরানোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন কোচরা। এমন গুরুত্বহীন ম্যাচকেও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন মরিনিয়ো। আলোচিত ঘটনাটি ঘটে ৭৯ মিনিটে। ওই সময় রোমার আলজেরিয়ান ফুটবলার হাউসেম আওয়ারকে তিনি তুলে নিলেও তার পরিবর্তে কাউকে মাঠে নামাননি।
তবে কাউকে নামানোর সুযোগ ছিল না পর্তুগিজ কোচের সামনে। কেননা এর আগেই নির্ধারিত ৮ ফুটবলারকে বদলি হিসেবে ব্যবহার করে ফেলেছেন মরিনিয়ো। ফলে আওয়ারকে তোলার পরে ম্যাচের বাকি সময় একজন কম ফুটবলার নিয়েই খেলতে বাধ্য হয় রোমা। তবে তার বদলি নামাতে পারবেন না জেনেও শিষ্যকে তুলে নেন রোমা কোচ। অস্বাভাবিকভাবে মরিনিয়োর খেলোয়াড় তুলে নেওয়ার এই ঘটনা নিয়ে এখনও বেশ আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন >> নিষেধাজ্ঞার পর উয়েফার বোর্ড ছাড়ছেন মরিনিয়ো
— José Mourinho Show (@Jmshow10_) August 12, 2023
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্ট’ মরিনিয়োর এই সিদ্ধান্তের দুটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। প্রথমত, আলজেরিয়ান ফুটবলার আওয়ারকে চোটমুক্ত রাখতে তাকে তুলে নিয়েছেন কোচ। লিওঁতে খেলার সময় ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার গত মৌসুমে ৪ বার চোটে পড়েছেন। যে কারণে তিনি মৌসুমে সব মিলিয়ে ১০ ম্যাচ খেলতে পারেনি। তাই আওয়ার যাতে আবারও কোনো চোটে না পড়েন সেটি নিশ্চিত করতেই মূলত তাকে তখন তুলে নেওয়া।
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে সমতা বজায় রাখতেই নাকি আওয়ারকে তুলে নিয়েছেন মরিনিয়ো। পার্টিজানির কোচ জোরান জেকিক নাকি আগেই তুলে নেওয়া একজন খেলোয়াড়কে বদলি হিসেবে নামাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রেফারি তা করার অনুমতি দেননি। ফলে আলবেনিয়ান ক্লাবটিকে খেলতে হচ্ছিল ১০ জন নিয়ে। তবে মরিনিয়ো সম্পর্কে ধারণা রাখা ব্যক্তিরা এটিকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখতে পারেন। যদিও অনেকেই এটিকে ‘পাগলামি’ বলে উল্লেখ করছেন।
এএইচএস