মাহমুদউল্লাহর দলে ফেরা নিয়ে যা বললেন আকরাম
আসন্ন এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। যেখানে ঠাঁই হয়েছে মোট ৩২ জন ক্রিকেটারের। সুযোগ মিলেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও। তবে গুঞ্জন আছে, স্কোয়াডের সদস্য সংখ্যা ৩২ থেকে ২০ বা ২২ জনে নেমে আসলে কাটা পরবে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের নাম। অবশ্য আকরাম খান মনে করেন, অভিজ্ঞতা বিবেচনায় অন্তত প্রথমিক দলে টিকে যেতে পারেন মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফ্যাসিলিটিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের মতে, মাহমুদউল্লাহর মতো একজন পরীক্ষিত ব্যাটারকে এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখলে সেটা দলের জন্যই বাড়তি পাওয়া। কারণ বড় আসরগুলোতে চাপ সামলে নিজের সেরাটা দেওয়া বরাবরই কঠিন কাজ। ফলে এসব মেগা আসরে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে আকরাম বলেন, 'অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, যদি ফর্মে থাকে এটা দলের জন্যই ভালো। কারণ এই দুটি টুর্নামেন্ট কিন্তু অন্যতম বড় টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপ এসব ক্ষেত্রে ভালো পারফর্ম করাটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ একই সঙ্গে মানসিকভাবে শক্তিশালি থাকাটাও জরুরী। যেহেতু রিয়াদ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অনেক দিন থেকে খেলে আসছে। গত তিন চার মাস আগেও কিন্তু সে দলে ছিল।'
বিশ্বকাপ নিয়ে সব দলেরই বাড়তি পরিকল্পনা থাকে। বাংলাদেশ যেহেতু সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে, তাই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আরও অনেক আগেই বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। তাই এই আসর ঘিরে পরিকল্পনার জন্য লম্বা সময় পেয়েছে বিসিবি।
আকরাম বলেন, 'বিশ্বকাপের দল নিয়ে কিন্তু আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়। কারা খেলবে, কারা খেলবে না। ভালো দলগুলো কিন্তু এগুলোই করে। অন্তত ৬-৮ মাস আগেই পরিকল্পনা করে থাকে। আরেকটা বিষয় তার জায়গায় কোনো জুনিয়র খেলোয়াড় যদি দুর্দান্ত পারফর্ম করে তাহলে (মাহমুদউল্লাহকে জায়গা হারাতে হতে পারে)...নির্বাচক আছে, টিম ম্যানেজেমেন্ট আছে তাদের ওপর নির্ভর করছে। কম্বিনেশন কি হবে তারাই ভালো বুঝবেন। তবে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যদি ফর্মে থাকে আর ফিট থাকে তাহলে কিন্তু দলের জন্যই ভালো।'
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকারদের মতো দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা ক্রিকেটার ছাড়াও ক্যাম্পে সুযোগ মিলেছে এইচপি, 'এ' দল আর বয়সভিত্তিক দলের পারফর্মারদের। তাই অভিজ্ঞদের পাশাপাশি সুযোগ থাকবে তরুণদের জন্যও।
এসএইচ/এইচজেএস