ক্যান্সার জয় করে বিশ্বকাপে লিন্ডা
বিশ্বকাপ অভিষেকে গোল তো অনেকেই করেছেন। লিওনেল মেসির কথাই ধরা যাক। ২০০৬ বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছিলেন তিনি। তবে, কলম্বিয়ার লিন্ডা কাইসেদোর গোলের মাহাত্ম্য যেন অন্য সবার চেয়ে আলাদা।
১৮ বছর বয়সেই জীবনের অন্য এক রূপ দেখে এসেছেন লিন্ডা। মাঠের বাইরে জয় করেছেন মরণব্যাধি ক্যান্সারকে। আর তাইতো এই নারীর প্রত্যাবর্তনের গল্পটাও একেবারেই ভিন্ন।
মেয়েদের বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে কলম্বিয়া। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন কাইসেদো। শুধু গোলেই না, নিজের ফুটবল শৈলীতেই মাঠের দর্শকদের মোহিত করেছেন এই লেফট উইঙ্গার। গতি আর ড্রিবলিং দিয়ে ম্যাচটাকে কলম্বিয়ার হাতেই রেখেছেন এই নারী।
সিডনিতে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনি। তখন পর্যন্ত সবটাই অবিশ্বাস্য ছিল তার কাছে, ‘আমি কখনো ভাবিনি দলের সঙ্গে এভাবে লড়াই করতে পারব। সতীর্থরা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আর আমি মনে করি, নিজের সেরাটা দিয়ে আমি মাঠে তাদের সাহায্য করতে পারব। আমি এখনো অনেক তরুণ। এটা আমার প্রথম বিশ্বকাপ। আমি এটা উপভোগ করতে চাই।’
২০০৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জন্মানো এই ফুটবলার যাত্রাটা শুরু করেছিলেন পাঁচ বছর বয়স থেকে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নিজের প্রথম পেশাদার ক্লাবে নাম লেখান তিনি। ২০১৯ সালে কলম্বিয়ার ক্লাব আমেরিকা দ্য ক্যালির হয়ে খেলা শুরু করেন লিন্ডা কাইসেদো।
কিন্তু অভিষেকের মাত্র ১ বছর পর ২০২০ সালে আক্রান্ত হন ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে। প্রথমে অস্ত্রোপচার করে সরানো হয় ডিম্বাশয়। এরপর শুরু হয় কেমোথেরাপি। ৫ মাসের লড়াই শেষে আবারও ফিরেছেন ফুটবল মাঠে।
পরের যাত্রাটা ছিল পুরোপুরি নাটকীয়। ২০২১ সালে দিপার্তিভো ক্যালির হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জেতেন কলম্বিয়ান লিগ। নারীদের কোপা আমেরিকায় পেয়েছেন গোল্ডেন বল। এরপরেই দলবদল করে চলে আসেন রিয়াল মাদ্রিদে। স্বপ্নের এই যাত্রার শেষ সংযোজন নিজের বিশ্বকাপ অভিষেকে দারুণ এক গোল।
জেএ