গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলহীন রোনালদো, জয়বঞ্চিত পিএসজি
নতুন মৌসুম শুরুর আগে প্রাক-মৌসুমের লড়াইয়ে ব্যস্ত সব ক্লাব। সে উপলক্ষ্যে জাপানের ওসাকায় পিএসজির মুখোমুখি হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল-নাসর। এর আগের দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে তারা হার দেখেছিলেন। এবার ফরাসিদের প্রায় দ্বিতীয় সারির বিপক্ষেও গোল পেলেন না রোনালদো। একইসঙ্গে এই পর্তুগাল সুপারস্টার গোলের একাধিক সহজ সুযোগও হাতছাড়া করেছেন। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়ে উভয় দল মাঠ ছাড়ে।
এদিন (মঙ্গলবার) ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে বেশ এগিয়ে ছিল পিএসজি। তবে বারবার আক্রমণ করেও তারা গোলের দেখা পাচ্ছিল না। তবে এই ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। অ্যাঙ্কলের চোটে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠের বাইরে থাকা এই তারকা ফুটবলার প্রথমবারের মতো দলের ডাগআউটে ছিলেন। তবে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তাকে ম্যাচে নামাননি কোচ লুইস এনরিকে।
ম্যাচে রোনালদোর পাওয়া দারুণ দুটি সুযোগই ছিল প্রথমার্ধে। ৩৯তম মিনিটে আবদুলরহমান ঘারিব ডি-বক্সে থাকা রোনালদোর উদ্দেশে দারুণ ক্রসিংয়ে বল দেন। সেখানে তার সামনে ছিলেন কেবল পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। কিন্তু ওয়ান টাচে বলটি গোলরক্ষকের হাতে মেরে বসেন রোনালদো। ৪৩তম মিনিটে তিনি দ্বিতীয় সুযোগ পান। এবার অবশ্য সুযোগটা রোনালদো নিজেই তৈরি করেছিলেন। ডান প্রান্ত থেকে তালিসকার ক্রসে অসাধারণ এক বাইসাইকেল কিক নেন রোনালদো। কিন্তু তার সেই প্রচেষ্টাও অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। যদিও রেফারি বাঁশি বাজিয়ে রোনালদোর অফসাইডে থাকার সিদ্ধান্ত দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া রোনালদোর সুযোগটি কিছুটা কঠিনই ছিল। কিন্তু ডি-বক্সে তার নেওয়া শটটি ভালোভাবে পায়েই লাগেনি। এরপর দ্বিতীয় চেষ্টা করতে গিয়ে হারান বলও। গোল না পেলেও বল পায়ে দারুণ কিছু মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন রোনালদো। দুয়েকবার ড্রিবলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন পুরোনো দিনের সুখস্মৃতির কথা। তবে এ নিয়ে টানা তিন প্রাক-মৌসুমের ম্যাচে তাকে জয়হীন থাকতে হলো। তবে এই ম্যাচের ড্র-টাই তার জন্য সান্ত্বনার। এর আগে সেল্টা ভিগো ও বেনফিকার বিপক্ষে তারা বড় হার দেখেছিলেন।
৬৫ মিনিটে মাঠ থেকে সিআরসেভেনকে তুলে নেওয়া হয়। এদিন গোল না পেলেও নজর কেড়েছেন পিএসজির বয়সভিত্তিক দল থেকে ওঠে আসা তরুণ ফরোয়ার্ড ওয়ারেন জাইরে এমেরি। একইসঙ্গে ১৮ বছর বয়সী নাহো লেমিনাও বেশ আলো ছড়িয়েছেন। তবে তারকা ফরোয়ার্ডদের অনুপস্থিতিতে এদিন এনরিকে পাঁচজন মিডফিল্ডার দিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে নতুন করে ফরাসি শিবিরে নাম লেখানো মার্কো অ্যাসেনসিও এই ম্যাচের একাদশে থাকলেও তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেননি। ফিনিশিং ব্যর্থতায় ১৩ শটের ৭টি লক্ষ্যে রেখেও কোনো গোল আদায় করতে পারেনি পিএসজি।
পিএসজি তাদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ২৮ জুলাই জাপানিজ ক্লাব সেরেজো ওসাকার বিপক্ষে খেলবে। তার একদিন আগে রোনালদোরা নামবে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে। এর আগে প্রাক-মৌসুম প্রস্ততির প্রথম ম্যাচে লা হাভারকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল প্যারিসিয়ানরা।
এএইচএস