সেঞ্চুরির আগপর্যন্ত তা নিয়ে ভাবেননি ফারজানা
নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে ভালো সময় পার করছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ভারতকে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচে হারানোর পর সিরিজও ড্র করেছে। তবে শেষ ম্যাচটি ড্র দিয়ে শেষ করায় সবচেয়ে বড় অবদান ফারজানা হক পিংকীর। এদিন প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে তিনি সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি গড়েন। এর আগে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও সেঞ্চুরি আছে তার। তবে তিনি নাকি এর আগপর্যন্ত সেঞ্চুরি করার কথাই ভাবেননি!
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফারজানা বলেন, ‘আপনি যখন একটা বড় ইনিংস খেলেন, সেটা আপনার আগামীর জন্য আরও বুস্টআপ হবে। আমি আজ সেঞ্চুরি করেছি, তবে আমার ঘাটতি নেই তা না। আমি আরও ভালো করার চেষ্টা করব। আমি তো বললাম, আমার ম্যানেজমেন্ট প্রসেস নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছে এবং সেভাবে আমরা সামনে এগুচ্ছি।’
এই সময় ফারজানার সঙ্গে ছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও। তাকে দেখিয়ে এই সেঞ্চুরিয়ান বলেন, ‘আমার পাশে যে বসে আছে সে সব সময় বলত যে, ‘‘পিংকি আপু আমি কিন্তু সেঞ্চুরি করব, আমি সেঞ্চুরি করব।’’ আমি শুনতাম কখনও উত্তর দিতাম না। আমি শুধু বলতাম, ‘‘আচ্ছা, ঠিক আছে। আপনিই আগে সেঞ্চুরি করবেন।’’ আজকে সেঞ্চুরি পাওয়ার পেছনেও ৭০-৮০ ভাগ অবদান ওর। কারণ আমি ওকে দেখাতে পারলাম আমিই করেছি। আমার স্কিলের প্রতি বিশ্বাস ছিল। যেহেতু ভালো শুরু পাচ্ছি। দিনশেষে সেঞ্চুরি হয়ে গেছে।’
‘সত্যি কথা বলতে আমি সেঞ্চুরি করিনি, অনেক সেঞ্চুরি দেখেছি। আমি মুশফিক ভাইয়ের সেঞ্চুরি দেখেছি। শান্ত ভাই রিসেন্ট দুটো সেঞ্চুরি করেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমিও সেঞ্চুরি পেয়েছিলাম। কিন্তু এই মুহূর্তে কোনো সেঞ্চুরির চিন্তাও করিনি। বল টু বল দেখেছি। যখন দেখেছি ৯৬ হয়ে গেছে, তখন আমি দুই-তিনটা বল প্যানিকড হয়ে গেছিলাম যে কী করব। যেহেতু গত ম্যাচ ৪৭ রানে শেষ হয়ে গেছে, সবাই বন্ধু সার্কেলে বলছিল ফিফটি মিস হয়ে গেছে। একটুর জন্য ফিফটি হলো না। আমি বলেছিলাম, প্রসেস ফলো করে যাই। আমার ধ্যানজ্ঞান ছিল বল আর ব্যাট’, যোগ করেন ফারজানা।
এসএইচ/এএইচএস