‘বাজে আম্পায়ারিং হয়েছে’, ম্যাচ শেষে হারমানপ্রীত
প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে পরের ম্যাচ জিতে সমতা ফেরায় ভারত নারী দল। ফলে শেষ ম্যাচটি দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে আউট হওয়ার পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে স্টাম্পে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেছিলেন হারমানপ্রীত কৌর। এরপর ম্যাচ শেষেও এ নিয়ে তার কণ্ঠে ক্ষোভ ঝরেছে।
ভারতের ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ঘটনা। নাহিদা আক্তারের বলে হারমনপ্রীত কৌরের বিপক্ষে ক্যাচ আউটের জোরালো আবেদন ওঠে। তাতে সাড়া দিয়ে আউট দেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত কিছুতেই যেন মানতে পারছিলেন না ভারত অধিনায়ক।
মাঠে কয়েক সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থেকে হাতে থাকা ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে বসেন হারমানপ্রীত। এতে একটি স্ট্যাম্প উড়ে ৪-৫ হাত দূরে চলে যায়। এরপর আম্পায়ারের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলে ক্ষোভ নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে হারমানপ্রীত বলেন, ‘আমার মনে হয় সিরিজটা আমাদের জন্য বড় শিক্ষনীয়। ক্রিকেটের বাইরে, যে ধরনের আম্পায়ারিং হয়েছে তা আমাকে খুবই বিস্মিত করেছে। পরে যখন আমরা আবার বাংলাদেশে আসবো, এই ধরনের বিষয় মোকাবিলা করতে হবে সেটা নিশ্চিত হয়েই আসবো, সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেব।’
এরপর ম্যাচ নিয়ে দু-চারটি বাক্য বলেই আবার আম্পায়ারিং নিয়ে কথা বলেন হারমনপ্রীত। তিনি বলেন, ‘আগেই বলেছি, খুবই বাজে আম্পায়ারিং হয়েছে। আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে খুবই হতাশ।'
উত্তেজনা আর নাটকীয়তায় টাসা এই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত টাই হয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ফারজানার সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান তুলতে পারে ভারত।
খেলা দেখতে মাঠে আসা ভারতীয় হাইকমিশনারকে কেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডাকা হলো না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হারমানপ্রীত, ‘ভালো ম্যাচ হয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি আমরা। শেষে বলতে চাই, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারও এখানে আছেন। এখানেও (পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে) তাকে ডাকতে পারতেন। যাই হোক, ঠিক আছে। এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ, স্যার।’
এইচজেএস