অবশেষে সোহাগকে বাফুফের চিঠি
তিন মাস আগে (১৪ এপ্রিল) বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। এরপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও বহিষ্কার হন তিনি। একইসঙ্গে বাফুফের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকেও সোহাগকে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে ফিফা নিষেধাজ্ঞার ৫৮ দিন পর (গত ১৫ জুন) তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাফুফে। অথচ বিষয়টি তার একমাস পর প্রকাশ্যে এসেছে।
এর আগে ১০ মে ফিফা ও বাফুফে থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর আবু নাঈম সোহাগ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সেই সম্মেলনে বাফুফের আজীবন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেছিলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না।
আরও পড়ুন >> বাফুফেতে আজীবন নিষিদ্ধ সোহাগ
সোহাগের এই মন্তব্যের পর ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির অনেক কর্মকর্তা চিঠি প্রদানে বিলম্ব হওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনেরও এক মাস পর বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে সোহাগকে চিঠি প্রদান করেছে।
২০০৫ সালে কম্পিটিশন ম্যানেজার হিসেবে ফেডারেশনে যোগ দিয়েছিলেন আবু নাইম সোহাগ। ২০১১-১৩ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক মেয়াদে তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের চুক্তি নবায়ন করে ফেডারেশন। সোহাগকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবহিত করলেও তার দেনা-পাওনা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। অন্যদিকে, সোহাগ ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে আপিল করেছেন। সেই আপিলের কার্যক্রম চলমান।
এজেড/এএইচএস