দলবদল নিয়ে যা বললেন দিবালা
চলমান গ্রীষ্মকালীন দলবদলে পাওলো দিবালার চেলসিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিতে দেখতে চান ব্লুজদের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভাও। তবে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে যাওয়ার জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিলেন। জানালেন, এএস রোমাতেই থাকছেন তিনি।
গত মৌসুমটি খুব বাজে কেটেছে চেলসির। প্রিমিয়ার লিগে তারা হয় দ্বাদশ। এটি ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের পর লিগে তাদের সবচেয়ে বাজে ফল। সেই ধাক্কা সামলে নতুন কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর অধীনে আগামী মৌসুমে ঘুরে দাঁড়াতে উন্মুখ হয়ে আছে তারা। সেজন্য চলছে স্কোয়াড ঢেলে সাজানোর কাজ। ইতোমধ্যে ক্লাব ছেড়ে গেছেন বেশ কয়েকজন, যোগ দিয়েছেন দুই স্ট্রাইকার সেনেগালিজ নিকোলাস জ্যাকসন ও ফরাসি ক্রিস্তোফার এককুনকু। তবে আক্রমণভাগের শক্তি আরও বাড়াতে স্বদেশি দিবালার দিকে পচেত্তিনোর নজর পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর।
দিবালাকে সতীর্থ হিসেবে পেতে আগ্রহী সিলভাও। আগের দিন রোববার ফর্মুলা ওয়ান রেস দেখতে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াকে বলেন, 'আমি পাওলো দিবালাকে এখানে দেখেছি। (গণমাধ্যমে) তার চেলসিতে যোগ দেওয়ার খবর উঠে আসছে। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেছি যে সে (চেলসিতে) আসছে কিনা। তবে সে কোনো জবাব দেয়নি। সে বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তার সঙ্গে খেলতে আমার ভালো লাগবে এবং তাকে চুক্তিবদ্ধ করাটা বিশাল ব্যাপার হবে। দেখা যাক কী ঘটে।'
উইম্বলডন ও ফর্মুলা ওয়ান রেস দেখে ইংল্যান্ড থেকে রোববারই ইতালির রাজধানী রোমায় ফিরেছেন দিবালা। বিমানবন্দরে তার অপেক্ষায় ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সেখানে লারোমা টোয়েন্টি ফোরকে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানান তিনি। দিবালার মন্তব্য পর্তুগিজ কোচ জোসে মরিনহোর অধীনে থাকা রোমার জন্য স্বস্তির হলেও চেলসির দিক থেকে তা হতাশাজনক। দিবালা বলেন, 'আমি প্রাক-মৌসুম নিয়ে রোমাঞ্চিত। ভ্রমণের কারণে আমি কিছুটা ক্লান্ত। আমি এখানে (রোমায়) আনন্দে আছি এবং আমি থাকছি কিনা? হ্যাঁ, আগামীকাল (সোমবার) থেকে আমাদের অনুশীলন শুরু হচ্ছে।'
জুভেন্তাস ছেড়ে গত মৌসুমে ইতালিয়ান সিরি আর আরেক ক্লাব রোমাতে নাম লেখান দিবালা। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয় তিন বছরের জন্য। অর্থাৎ আরও দুই মৌসুম রোমাতে থাকার কথা রয়েছে ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের। ২০২২-২৩ মৌসুমে দলটির হয়ে দারুণ পারফর্ম করেন দিবালা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচে ১৮ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। রোমার উয়েফা ইউরোপা লিগে রানার্সআপ হওয়ার পেছনে তার ছিল বড় অবদান।
এইচজেএস