সরকারের কাছে বিশ্বকাপ খেলার অনুমতি চাইলো পিসিবি
পাঁচদিন আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সময়-সূচি জানিয়েছিল আইসিসি। বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই সূচি অনুযায়ী ভারতের ৫টি ভেন্যুতে গ্রুপপর্বের ৯ ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। ইতোমধ্যে দেশটির পক্ষ থেকে সেসব ভেন্যু পরিদর্শনে নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানা গেছে। তবুও বাবর আজমদের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে এখনও রয়েছে শঙ্কা। সেজন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দেশটির সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিওসুপার বলছে, পাকিস্তান সরকারের কাছে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছে পিসিবি। সরকারের সবুজ সংকেত পেতে তারা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, গৃহ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন >> বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের প্রতিনিধি যাবে ভারতে
চিঠি পাঠানোর বিষয়ে পিসিবির এক সূত্র জানিয়েছেন, ‘গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আমাদের অভিভাবক, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কাছে চিঠি দিয়েছি। সঙ্গে আন্তপ্রাদেশিক সমন্বয় (আইপিসি) মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র ও গৃহ মন্ত্রণালয়েও চিঠির কপি পাঠানো হয়েছে।’
— Geo Super (@geosupertv) July 2, 2023
সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে তিনি আরও বলেছেন, ‘ভারত সফরের সিদ্ধান্ত এবং ভেন্যুর অনুমোদন দেওয়া পাকিস্তান সরকারের বিশেষাধিকার। সরকারের রায়ের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে এবং যা পরামর্শ দেওয়া হবে তা অনুসরণ করব। এর জন্য যদি ভেন্যুগুলো পরিদর্শন করা এবং ইভেন্ট আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রয়োজন হয়, তাহলে ভারতে একটি দল পাঠানো হবে, তবে সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধান্তটি সরকারের হাতে।’
আরও পড়ুন >> গেইলের মতে বিশ্বকাপের সেমিতে খেলবে যারা
৫ অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরুর পরদিনই পাকিস্তানের ম্যাচ রয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাছাইপর্বের চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে খেলবে তারা। তবে সবার চোখ থাকবে ১৫ অক্টোবর। সেদিন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ভারত-পাকিস্তান আহমেদাবাদে মুখোমুখি হবে। গ্রুপের ৯ ম্যাচ ৫ ভেন্যুতে খেলবে পাকিস্তান। ১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপের ফাইনালও হবে আহমেদাবাদে।
ভারতের বেঙ্গালুরুতে চলমান ফুটবল টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশটি অংশ নিয়েছিল। যদিও জয়হীন সফরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় তারা। সেই ধারাবাহিকতায় ক্রিকেট দলও আসন্ন আইসিসির মেগা আসরটিতে খেলতে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভারত সফরের পর প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবে পাকিস্তান সরকার।
এএইচএস