পরিসংখ্যানের আলোয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল
আজ (১০ জুন) রাত ১টায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের ফাইনাল। যেখানে ট্রেবল জয়ের দৌড়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান। এবারই প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কোনো ম্যাচে মুখোমুখি ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা এর আগে একটিই। ২০০৫ সালে লিভারপুল ও এসি মিলান। কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে, সেই ফাইনালও হয়েছিল ইস্তাম্বুলে।
এর আগে চারবার ইউরোপীয় ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ইংলিশ ও ইতালিয়ান ক্লাব। চার ম্যাচেই একটি দলের নাম লিভারপুল। যার দুটিতে টাইব্রেকারে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংলিশ ক্লাবটি।
সিটি ও ইন্টার দুবার প্রাক্–মৌসুম প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। প্রথমবার ২০১০ সালে সান সিরোতে ৩-০ গোলে জেতে ইন্টার। ২০১১ সালে ডাবলিন কাপে সিটি ৩-০ গোলে হারায় ইন্টারকে।
ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে ১৬টি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলেছে সিটি। এর ৬টিতে জিতেছে, হেরেছে ৪টিতে, ড্র হয়েছে অন্য ৬টি ম্যাচ। ১৯৭৬ সালে উয়েফা কাপে সর্বপ্রথম ইতালিয়ান ক্লাবের বিপক্ষে খেলে সিটি। সেই ম্যাচে জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারায় সিটি।
১৯৫৬ সালে ইন্টার-সিটিস ফেয়ার্স কাপে প্রথম ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে খেলে ইন্টার। সেই ম্যাচে বার্মিংহাম সিটির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ইন্টার। ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে ৩৮ ম্যাচ খেলে ১৫টিতে জিতেছে ইন্টার, হেরেছে ১৭টিতে, ড্র হয়েছে ৬টি ম্যাচ।
তিন মৌসুমের মধ্যে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলছে সিটি। সিটি ফাইনালে উঠেছে এই দুবারই। ষষ্ঠবার ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার। সর্বশেষ ২০১০ সালে সর্বশেষ ফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইন্টার।
১৫তম দল হিসেবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ম্যানচেস্টার সিটির। সর্বশেষ ছয় মৌসুমে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে আছে একটি ইংলিশ ক্লাব। মোট ২৫টি ফাইনাল খেলে ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ২৮ বার ফাইনাল খেলে ১২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব। ২০১০ সালে সর্বশেষ ইতালিয়ান ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইন্টারই।
সিটির এদেরসন, কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, বের্নার্দো সিলভা, ইলকায় গুন্দোয়ান, ফিল ফোডেন, কেভিন ডি ব্রুইনা ও রিয়াদ মাহরেজ খেলেছেন ২০২১ সালের ফাইনালে। স্কট কারসন, নাথান আকে, এমেরিক লাপোর্ত ও রদ্রি বদলি তালিকায় থাকলেও তাদের খেলা হয়নি।
২০০৯ ও ২০১১ সালে বার্সেলোনার হয়ে শিরোপা জেতা পেপ গার্দিওলার সামনে সুযোগ ষষ্ঠ কোচ হিসেবে দুটি দলকে চ্যাম্পিয়ন করানোর।
চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে ভিন্ন দুটি ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করার সুযোগ গুন্দোয়ানের। ২০১২ সালের ফাইনালে বায়ার্নের বিপক্ষে গোল পেয়েছিলেন জার্মান তারকা। প্রথম তিনজন ভেলিবোর ভাসোভিচ (পার্টিজান ১৯৬৬, আয়াক্স ১৯৬৯), ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ইউনাইটেড ২০০৮, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৪, ২০১৭) ও মারিও মানজুকিচ (বায়ার্ন ২০১৩, জুভেন্টাস ২০১৭)।
ইন্টারের এদিন জেকো ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সিটির হয়ে ১৮৯ ম্যাচ খেলে ৭২ গোল করেছেন। সিটির বিপক্ষে ১৮ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন চেলসি থেকে ধারে ইন্টারে খেলা রোমেলু লুকাকু। এই ১৮ ম্যাচের ১২টিতেই সিটির কাছে হেরেছে লুকাকুর দল, জিতেছে ৩টিতে।
বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সুযোগ আর্জেন্টিনার হুলিয়ান আলভারেজ (সিটি) ও লাওতারো মার্তিনেজের (ইন্টার)।
এইচজেএস