ছেলেরা যা পারেনি তা করে দেখাল বার্সেলোনার মেয়েরা
আরও একবার ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য লিখেছে বার্সেলোনা। তবে ছেলেরা নয়, এমন কীর্তি গড়েছে কাতালান ক্লাবটির মেয়েরা। আলেক্সিয়া পুতেয়াস-আইতানা বোনমাতিরা সর্বশেষ তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুটিতেই শিরোপা জিতেছে। ভলফ্সবুর্গের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ৩–২ ব্যবধানে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাবসেরা হয়েছে বার্সেলোনা নারী দল।
নেদারল্যান্ডসের আইন্দহোফেনে ভলফ্সবুর্গের মুখোমুখি হয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধেই জোড়া গোলে এগিয়ে যায় ভলফ্সবুর্গ। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠলেও ব্যালন ডি’অর জয়ী পুতেয়াসকে নিয়ে ফাইনালে ঝুঁকি নিতে চাননি কোচ জোনাতান হিরালদেজ। শুরুর একাদশে তো নয়ই; দুই গোল খাওয়ার পরেও পুতেয়াসকে না নামানোয় হারের শঙ্কাটা আরও পেয়ে বসেছিল।
তবে বিরতির পর শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চের সব আলো কেড়ে নেন পাত্রিসিয়া গিহারো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে বার্সাকে ম্যাচে ফেরান এই মিডফিল্ডার। গিহারোর গোল দুটি বার্সার মেয়েদের আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া দেয়। জয়সূচক গোলের খোঁজে একের পর এক আক্রমণে ভলফ্সবুর্গকে ব্যতিব্যস্ত রাখে কাতালান ক্লাবটি। কাঙ্ক্ষিত গোলটা আসে ৭০ মিনিটে। মারিওনা কালদেনতির পাস থেকে বল পেয়ে ভলফ্সবর্গের জাল কাঁপান ফ্রিদোলিনা রোলফো। এগিয়ে যাওয়া গোলের পর রোলফোকে অভিনন্দন জানাতে বেঞ্চ থেকে ছুটে আসেন পুতেয়াস।
তবে পুতেয়াসকে ছাড়া এমন স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে যাবে, তা হয় না! ৯০ মিনিটে বোনমাতির বদলি হিসেবে নামেন পুতেয়াস। কিছুক্ষণ পর রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে ইউরোপসেরা হওয়ার গৌরবে মাতে বার্সা। ট্রফিটা পুতেয়াসের হাতে উঠতেই গৌরবজ্জ্বল দিনটা রূপ নেয় উৎসবে।
এর আগে ২০২১ সালে বার্সার মেয়েরা প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত বছরও ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু ৩–১ ব্যবধানে হেরে যায় এই প্রতিযোগিতার সফলতম দল ফ্রান্সের অলিম্পিক লিওঁর কাছে। জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে গত ফাইনালে প্রথমার্ধেই ৩ গোল হজম করে বার্সা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বিরতির পর অধিনায়ক আলেক্সিয়া পুতেয়াসের সান্ত্বনাসূচক গোলটা শুধু ব্যবধানই কমায়। সেই একই শঙ্কা কালকের ম্যাচেও তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি আর হতে দেননি মেয়েরা।
জাভি হার্নান্দেজের অধীনে বার্সেলোনার ছেলেরা ৪ বছর পর লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে এই মৌসুমে। সেখানে টানা ৪ বার জিতে মেয়েরা লিগ ট্রফিটা প্রায় নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। এছাড়া ছেলেরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে ৮ বছর আগে। বিপরীতে মেয়েরা ইউরোপসেরা হওয়ার শেষ তিনটি ফাইনালেই খেলেছে। যার দুটিতেই সফল তারা।
এএইচএস