নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানালেন দুর্জয়
বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে বাংলাদেশ 'এ' দলের পাশাপাশি বড় ভূমিকা রাখে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। যাকে বলা হয়ে থাকে এইচপি দল। ২৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে আজ (বুধবার) থেকে মিরপুর শেরে-ই বাংলায় শুরু হয়েছে প্রথম ধাপের ক্যাম্প।
ক্যাম্প শুরুর প্রথম দিনেই আজ বুধবার গণমাধ্যমে কথা বলেছেন এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়। তরুণ ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি নিয়ে দুর্জয় বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের ওপর। আমার বা আমার কমিটির কাজ হলো সাপোর্ট দিয়ে যাওয়া। তাদের যা যা প্রয়োজন সেগুলো সরবরাহ করা। এইচপি টিম থেকেই ভবিষ্যতের খেলোয়াড় ওঠে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ৭-৮ জন খেলোয়াড় দেখি যারা এইচপির মধ্য দিয়ে ওঠে আসছে। ’
দুর্জয় আরো বলেন, ‘আসলে পুরো ব্যাপারটি খেলোয়াড়দের। যারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নতি করতে পারে, ভালোভবে প্রস্তুত করতে পারে। যত ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে ততই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। তারাই জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এটা আমাদের কিছু না, পুরোটাই খেলোয়াড়দের।’
সাধারণত এইচপির ক্যাম্প হয় বৃষ্টির মৌসুমে। যে কারণে নিজেদের কিছু সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে দুর্জয় বলেন, ‘আমি এখনো মনে করি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকিছু পারিনি, কারণ আমাদের অবকাঠামোতে কিছু গ্যাপ আছে। যেমন গ্রাউন্ডস, ইনডোর, জিম। বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়। একইভাবে এইচপির প্রোগ্রামটাও আমাদের বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়।’
নিজেদের অবকাঠামোর উন্নতির তাগিদ দিয়ে দুর্জয় বলছিলেন, ‘খেলোয়াড়রা ব্যস্ত থাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে। তাদের বিপিএল ও ডিপিএল খেলতে হয়। ওই সময় কিন্তু আমরা প্রোগ্রামগুলো করতে পারি না। বিশেষ করে স্কিল ট্রেনিং করা যায় না। বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। এ কারণে আমাদের আরও কিছু অবকাঠামো উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ইনডোর ও জিম।’
এসএইচ/এফআই