মেসিকে ভিলায় খেলাতে নিজের বেতন কমাতেও রাজি মার্টিনেজ
একটু পেছনে ফেরা যাক। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল।
নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ওঠার আনন্দে সবাই যখন উল্লাস করছিলেন, তখন লিওনেল মেসি গিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। মেসি জানতেন, গোলপোস্টের নিচে এই অতন্দ্রপ্রহরী না থাকলে জয়টা আসত না। দলনায়ক যেমন সতীর্থদের প্রাপ্য ভালোবাসা দিতে জানেন, তেমনি সতীর্থদেরও তাকে নিয়ে ভক্তির কমতি নেই। মেসির জন্য প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দিতে পারেন তারা। এই যেমন নিজের বেতন কমিয়ে হলেও অ্যাস্টন ভিলায় মেসিকে খেলাতে চান মার্টিনেজ।
আগামী ৩০ জুন পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে মেসির। ক্লাবটির সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকার বিচ্ছেদ অনেকটাই নিশ্চিত। সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে বার বার ওঠে আসছে সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার নাম। অন্যদিকে, আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ীকে পেতে ইতোমধ্যে মোটা অঙ্কের প্রস্তাব নিয়ে হাজির সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল। তবে মেসি শেষ পর্যন্ত কোন ক্লাবে যাবেন, সেটা পিএসজির সঙ্গে মেয়াদ শেষেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকার বাবা ও এজেন্ট জর্জ মেসি।
পিএসজিতে শেষ সময়টা ভালো কাটছে না মেসির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর থেকেই মূলত প্যারিস জায়ান্টস সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই দুয়োধ্বনি শুনতে হচ্ছে। এ সম্পর্কে কদিন আগে পিএসজি কোচ মন্তব্য করেছিলেন, অভ্যস্ত হয়ে গেছেন মেসি।
আরও পড়ুন: পিএসজিতে মেসির বিকল্প হতে পারেন যিনি
এদিকে, গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্টিনেজ বলেন, ‘যদি তারা (পিএসজি সমর্থক) দুয়ো দেয়, তাহলে মেসিকে আমি অ্যাস্টন ভিলায় নিয়ে আসব। এখানে চলে আসো। আমরা তোমাকে খাওয়াব। এখানে আমি প্রতি সপ্তাহে রোস্ট করি। মানুষকে ছোট পতাকা তৈরি করে দেই। তাদের সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটে।’
তবে মেসিকে পেতে যেখানে আল-হিলাল টাকার বস্তা নিয়ে হাজির সেখানে অ্যাস্টন ভিলা টেক্কা দিতে পারবে? অবশ্য কম যাননি মার্টিনেজও। প্রিয় সতীর্থকে পেতে তিনি প্রস্তুত নিজের বেতন কাটছাঁট করতেও। বলেন, ‘আমি নিজের বেতন কমাব। তাকে পেতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
কাতার বিশ্বকাপে মেসির কাছে অনেক কিছু শিখেছেন মার্টিনেজ। সেই শিক্ষা তার খেলা আরও উন্নত করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘বিশ্বকাপে মেসির কাছে আমার সব থেকে বড় শিক্ষা হলো কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা। বিশ্বকাপে এমনিতেই প্রচণ্ড চাপ থাকে। সেই পরিস্থিতিতে আরও বেশি চাপ নিলে সমস্যা হয়। কিন্তু এবার আমি স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পেরেছিলাম বলেই সাফল্য পেয়েছি।’
এফআই